আবারও জামিন নামঞ্জুর হয়ে গেল সজল ঘোষ হত্যা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত প্রদীপ সাহার।
বৃহস্পতিবার নবদ্বীপের অতিরিক্ত এবং সেশন জজ সুধীর কুমারের আদালতে সজল ঘোষ হত্যা মামলার শুনানি ছিল। শুরুতেই প্রদীপ সাহার আইনজীবী প্রতীম সিংহ রায় এবং বিষ্ণুপ্রসাদ শীল আদালতের কাছে তাঁর জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক তা খারিজ করে দেন। আদালত জানায়, সুপ্রিম কোর্ট এবং কলকাতা হাইকোর্ট প্রদীপ সাহার জামিনের আবেদন ইতিপূর্বে খারিজ করে দেওয়ায় এই আদালতের পক্ষে তাঁকে জামিন দেওয়া সম্ভব নয়।
একটানা একত্রিশ মাস হয়ে গেল জেল হেফাজতে রয়েছেন প্রদীপ সাহা। ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পূর্বস্থলীর তৃণমূল নেতা সজল ঘোষকে গুলি করে খুনের ঘটনার রাত থেকেই কারারুদ্ধ তিনি। খুনে অভিযুক্ত পাঁচ জনের মধ্যে চার অভিযুক্ত অনেক আগেই জামিন পেয়ে গেলেও জামিন পাননি পারুলিয়ার কুলকামিনী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা সিপিএমের পূর্বস্থলী জোনাল কমিটির সম্পাদক প্রদীপ সাহা।
তবে এ দিন ওই মামলার কোনও সাক্ষ্যগ্রহণ হয় নি। সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল মামলার তদন্তকারি অফিসার বিভাস সেনের। কিন্তু অসুস্থ থাকায় এ দিন তিনি সাক্ষ্য দিতে আসেননি। এর আগেও পরপর চারদিন জেরা করা হয়েছে তাঁকে।
এ দিন সজল ঘোষ হত্যা মামলায় সরকারপক্ষের আইনজীবী তথা নদিয়ার অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি বিকাশকুমার মুখোপাধ্যায়ের তরফে আদালতে একটি আবেদন জানানো হয়। বিকাশবাবুর অনুপস্থিতিতে নবদ্বীপের অতিরিক্ত এবং সেশন জজ আদালতের কৌঁসুলি সনৎকুমার রায় ওই আবেদন পেশ করেন। তাতে বলা হয় ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি রাতে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে সজল ঘোষ খুনের ঘটনার সময়ে নবদ্বীপ থানার আইসি ছিলেন শঙ্কর রায় চৌধুরী। ঘটনার পরে যে এফআইআর হয়েছিল সেটি ওই আইসি প্রথমে পূর্বস্থলী থানায় পাঠিয়েছিলেন। পূর্বস্থলী থানা সেটিকে আবার নবদ্বীপে ফেরত পাঠায়। বিষয়টি নিয়ে নবদ্বীপ থানার তদানীন্তন আইসিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তিনি।
আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করেন। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর আবার শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। ওই দিন ওই আইসি শঙ্কর রায় চৌধুরী এবং মামলার তদন্তকারী অফিসার বিভাস সেনকে জেরা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy