Advertisement
E-Paper

ফেসবুক-মন্তব্যে অশান্তি, প্রহৃত কংগ্রেস নেতা

‘ফেসবুকে আজেবাজে মন্তব্য’ নিয়ে অশান্তি। তার জেরে এক কংগ্রেস নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের তৃণমূল নেতা হুমায়ুন কবীরের ছেলের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে সোমপাড়া-১ পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান কংগ্রেসের সুশান্ত চট্টোপাধ্যায় সাইকেল চালিয়ে শক্তিপুরের বাড়িতে ফিরছিলেন। সেই সময়ে হুমায়ুনের ছেলে গোলাম নবি আজাদ ওরফে রবিন ও তাঁর দলবল ওই কংগ্রেস নেতাকে লোহার রড-শাবল দিয়ে বেড়ধক মারধর করেন বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৪ ০০:১০

‘ফেসবুকে আজেবাজে মন্তব্য’ নিয়ে অশান্তি। তার জেরে এক কংগ্রেস নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের তৃণমূল নেতা হুমায়ুন কবীরের ছেলের বিরুদ্ধে।

সোমবার দুপুরে সোমপাড়া-১ পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান কংগ্রেসের সুশান্ত চট্টোপাধ্যায় সাইকেল চালিয়ে শক্তিপুরের বাড়িতে ফিরছিলেন। সেই সময়ে হুমায়ুনের ছেলে গোলাম নবি আজাদ ওরফে রবিন ও তাঁর দলবল ওই কংগ্রেস নেতাকে লোহার রড-শাবল দিয়ে বেড়ধক মারধর করেন বলে অভিযোগ। আহত সুশান্তবাবুকে শক্তিপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পরে তাঁকে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সুশান্তবাবুর স্ত্রী সুচরিতা চট্টোপাধ্যায় শক্তিপুর থানায় গোলাম নবি আজাদ-সহ চার জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও গোটা বিষয়টি জানিয়ে নির্বাচনী কমিশনারকে ফ্যাক্স বার্তা পাঠানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসকের কাছেও লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, “অধীর চৌধুরীর নির্দেশে বিস্তারিত জানিয়ে নির্বাচনী কমিশনারকে ফ্যাক্স বার্তা পাঠানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসকের কাছেও লিখিত অভিযোগ হয়েছে।”

ঘটনার কথা কার্যত মেনে নিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, “সুশান্ত চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে দু’দিন আগে ফেসবুকে আমার বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করেছে। আমার মৃত বাবার সম্বন্ধেও আজেবাজে কথা লিখেছে। এই ভাবে পরিবারের সদস্যদের অসম্মান করায় আমার ছেলের আত্মসম্মানে লেগেছে। এদিন ওই কংগ্রেস নেতা যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন তাঁকে দাঁড় করিয়ে জবাব চায় ছেলে। ওই কংগ্রেস নেতা চলে যাচ্ছিলেন। তাঁকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করলে দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। বিষয়টি তখন মিটেও যায়। পরে ওই কংগ্রেস নেতা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে নাটক করছেন।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলডাঙা-২ ব্লকের সোমপাড়ায় সুশান্তবাবুর আদিবাড়ি। কয়েক বছর আগে তিনি শক্তিপুরে বাড়ি করে উঠে আসেন। এদিন দুপুরে সোমপাড়ার বাড়ি থেকে সাইকেল চড়ে শক্তিপুরের বাড়িতে ফিরছিলেন। সেই সময়ে নিজেদের বাড়ির ১০০ মিটারের মধ্যে মানিক্যহার এলাকায় একটি মোটরবাইক গ্যারাজের কাছে দাঁড়িয়েছিলেন হুমায়ুন কবীরের ছেলে রবিন ও তাঁর দলবল। বেলডাঙা-২ ব্লক (পশ্চিম চক্র) কংগ্রেস সভাপতি ইন্দ্রনীল প্রামাণিক বলেন, “ওই কংগ্রেস নেতা গ্যারাজের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে পথ আটকে সাইকেল থেকে নামায় ওরা। লোহার রড-শাবল দিয়ে মারে। রডের আঘাতে বাম পা এবং দু’ হাত গুরুতর জখম হয়েছে সুশান্তবাবুর। সাইকেল ফেলে ছুটে গিয়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে কোনও রকমে প্রাণে বাঁচেন তিনি।”

ইন্দ্রনীলবাবুর অভিযোগ, “লোকসভা ভোটের মুখে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে ওই তৃণমূল নেতা।”

হুমায়ুন কবীর পাল্টা বলেন, “কংগ্রেসের নেতাদের বলছি তাদের কর্মীদের সংযত করুন। আদব-কায়দা শিখুন। তাঁরা যদি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে পার পেয়ে যেতে পারেন, তাহলে আমরাও আচরণবিধি ভঙ্গ করে পার পাব।”

facebook humayun kabir berhampur murshidabad
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy