Advertisement
E-Paper

মিড ডে মিল নিয়ে অশান্তি দুই স্কুলে

মিড-ডে মিল নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল জলঙ্গির দু’টি স্কুলে। সোমবার সকালে প্রথম ঘটনাটি ঘটে জলঙ্গির সাদিখাঁড়দেয়াড় গার্লস জুনিয়র হাইস্কুলে। এদিন স্কুল শুরুর পর থেকে রাঁধুনি নূরেদা বিবির কাজে যোগ দেওয়া নিয়ে একদল স্থানীয় বাসিন্দা চড়াও হন স্কুলে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বন্ধ হয়ে যায় পঠন পাঠন। অন্যদিকে মিড-ডে-মিলের রান্না খাবারে টিকটিকি পড়াকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় জলঙ্গি কিশোর সংঘ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তবে ওই ঘটনায় কোনও ছাত্র অসুস্থ হয়নি বলে জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সমীর কুমার সরকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৪ ০০:১৮

মিড-ডে মিল নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল জলঙ্গির দু’টি স্কুলে। সোমবার সকালে প্রথম ঘটনাটি ঘটে জলঙ্গির সাদিখাঁড়দেয়াড় গার্লস জুনিয়র হাইস্কুলে। এদিন স্কুল শুরুর পর থেকে রাঁধুনি নূরেদা বিবির কাজে যোগ দেওয়া নিয়ে একদল স্থানীয় বাসিন্দা চড়াও হন স্কুলে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বন্ধ হয়ে যায় পঠন পাঠন। অন্যদিকে মিড-ডে-মিলের রান্না খাবারে টিকটিকি পড়াকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় জলঙ্গি কিশোর সংঘ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তবে ওই ঘটনায় কোনও ছাত্র অসুস্থ হয়নি বলে জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সমীর কুমার সরকার। জলঙ্গির বিডিও সাধন দেবনাথ বলেন, ‘‘দু’টি ঘটনার খবর পেয়েছি। মঙ্গলবার বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করব।’’

সাদিখাঁড়দেয়াড় গার্লস জুনিয়র হাইস্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, নূরেদা বিবি নামে স্থানীয় এক মহিলা রান্নার কাজ করতে আসেন। কিন্তু প্রতিদিনই কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে অশান্তি হয়। ফলে স্কুলের তরফ থেকে তাঁকে রান্না করতে বারণ করা হয়। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্বামী-সহ কয়েক জন চড়াও হয় স্কুলে। যদিও ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বিষয়টি নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘যা বলার বিডিও বলবেন।”

জলঙ্গির অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক তাজউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ‘‘ওই মহিলার বিরুদ্ধে এর আগেও ছাত্রীদের হাতে গরম খাবার ফেলে দেওয়া, খাবারে বিষ মেশানোর হুমকির দেওয়ার অভিযোগ ছিল। সে সব কারণেই নূরেদাকে স্কুলের ওই রান্নার কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছিল।’’ যদিও নূরেদার দাবি তাকে অন্যায় ভাবে কাজ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে এদিন ছাত্রীরা তার প্রতিবাদ করেছে।

অন্যদিকে কিশোর সংঘের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে-মিলের খাবারে টিকটিকি পড়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় অভিভাবক মহলে। যদিও খাবার খেয়ে কোনও ছাত্র অসুস্থ না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আর নতুন করে উত্তেজনা ছড়াইনি। প্রধান শিক্ষক সমীর কুমার সরকার বলেন, ‘‘রান্নার শেষে একটি পাত্রে টিকটিকির বাচ্চা পড়েছিল। খাবারটি ফেলে দেওয়া হয়েছে।’’

mid day meal domkal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy