পুলিশের ‘পক্ষপাতমূলক’ আচরণের প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ জানালো ছাত্রপরিষদ। গত ৩১ অগস্ট বহরমপুর কলেজের মধ্যে তৃণমূল ছাত্রপরিষদ ও ছাত্রপরিষদের সদস্যদের মধ্যে মারপিটের ঘটনায় বহরমপুর থানায় ছাত্রপরিষদের ১০ জনের বিরুদ্ধে এবং তৃণমূল ছাত্রপরিষদের চার জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ ওই রাতেই ছাত্রপরিষদের দু’জন সদস্যকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ছাত্রপরিষদের জেলা সভাপতি সরফরাজ শেখ রুবেল বলেন, “ওই ঘটনায় তৃণমূলের চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা সত্ত্বেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। পুলিশের পক্ষপাতমূলক আচরণের প্রতিবাদে এ দিন জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়েছে।” যদিও পুলিশের দাবি, কলেজের ওই ঘটনায় জড়িত সকলকেই গ্রেফতার করা হবে।
এ দিন বহরমপুরের গির্জার মোড়ে বহরমপুর ও কৃষ্ণনাথ কলেজের ছাত্র পরিষদের কর্মী-সমর্থকরা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে খবর পেয়ে বহরমপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই অবরোধ তুলে দেয়। ছাত্র-বিক্ষোভের জেরে জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। ভোগান্তির মুখে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। তৃণমূল ছাত্রপরিষদের জেলা সভাপতি রাজা ঘোষ বলেন, “বহরমপুর কলেজ অধ্যক্ষের উপস্থিতিতে সমস্ত রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন কলেজের মধ্যে বহিরাগত কোনও ছাত্র ঢুকবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়। তার পরেও ছাত্রপরিষদের বহিরাগতরা বহরমপুর কলেজে নিয়মিত যাতায়াত করছে।” তিনি জানান, “ওই বহিরাগত ছাত্রপরিষদের দুষ্কৃতীরা গত শনিবার তৃণমূলের মহামিছিলের দিন সাদিকুল ইসলাম নামে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের এক জন সদস্যকে বেধড়ক মারধর করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়। তার মাথায় সেলাই পড়েছে।” এ দিকে পুলিশের ‘নিরপেক্ষ’ ভূমিকার দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি নিয়েছে ছাত্রপরিষদ। সরফরাজ বলেন, “শুক্রবার বহরমপুরের সমস্ত কলেজে পঠনপাঠন বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy