শাসকদলের নেতাদের সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বললেন, ‘‘কাউকে ধরব, আর কাউকে ছাড়ব, সিবিআই এমন নীতি গ্রহণ করতে পারে না।’’ সোমবার সকালে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সহ কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। ঘটনা প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার গ্রেফতারির ধরন নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বহরমপুরের সাংসদ। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে সিবিআই নারদ কাণ্ডে ৪ জন বর্তমান এবং প্রাক্তন মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। আমার বক্তব্য খুব সামান্য, সেই বক্তব্যটা হচ্ছে এই, যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার যেন বাংলার কেউ না হয়। কাউকে ধরব, কাউকে ছাড়ব, সিবিআই এই নীতি গ্রহণ করতে পারে না।’’ অধীর আরও বলেন, ‘‘কাউকে ধরা হবে, কাউকে ছাড়া হবে, এটা কখনও গ্রেফতারির নিয়ম হতে পারে না। সর্বোপরি, তাঁরা বাংলার রাজনীতিবিদ। অনেকেই সিনিয়র পলিটিশিয়ান। আমি তাঁদের কয়েক জনকে ভাল করে চিনি। সুব্রতবাবু আছেন, মদনদা আছেন। ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়, সবাই এঁরা বাংলার রাজনীতিক। তাঁদের সুস্বাস্থ্য ও তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি কে দেখবে? তার ব্যবস্থা কে করবে?’’
প্রসঙ্গত, নারদা মামলায় অভিযুক্ত মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারী দু’জনেই বর্তমানে বিজেপি-তে। শুভেন্দু আবার সম্প্রতি বিজেপি-র পক্ষে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মনোনীত হয়েছেন। আর মুকুল রায় এ বারের ভোটে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা থেকে বিধায়ক হয়েছেন। তাই মনে করা হচ্ছে, নাম না করে এই ২ নেতার দিকেই আঙুল তুলে সিবিআইয়ের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বহরমপুরের ৫ বারের সাংসদ।