দুই মন্ত্রী-সহ তিন বিধায়ককে গ্রেফতারের ঘটনায় সিবিআই এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার মধ্যে শুরু হয়েছে টানাপড়েন। এর জেরে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার ভাবনাচিন্তাও শুরু করে দিল বিধানসভার সচিবালয়।
সোমবার সকালে আচমকাই পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে নারদ মামলায় গ্রেফতার করে সিবিআই। গ্রেফতার করা হয় কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। শোভন বর্তমানে বিধানসভার সদস্য না হলেও সুব্রত, ফিরহাদ, মদন সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হয়েছেন।
এই গ্রেফতারির পর ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, "ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের যে ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বেআইনি। কারণ কলকাতা হাইকোর্ট জানতে চেয়েছিল কাউকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে স্পিকারের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা। আদালত আমাদের কাছে জানতে চাওয়াতে আমি বলেছিলাম আমাদের সঙ্গে কোনও কমিউনিকেশন নেই। আমাদের কাছে এ বিষয়ে সিবিআই কিছু জানতেও চায়নি, কোনও চিঠিও দেয়নি।"
গ্রেফতারির একদিন পর, মঙ্গলবার, সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে বিধানসভার স্পিকার এবং সচিবালয়কে তা প্রথম জানানো হয়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন স্পিকার। কিন্তু তাতে ক্ষোভ কমেনি। বিমান বলেন, “গোটাটা আমাকে অন্ধকারে রেখে করা হয়েছিল।” সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপের কথা ভাবছেন কি? আনন্দবাজার ডিজিটালের তরফে প্রশ্ন করা হয় স্পিকারকে। এখনই প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ বিমান। বলেছেন, "আমি এ বিষয়ে এখনই সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানতে চাই না। আমার দায়িত্বের মধ্যে কি পড়ে বা না পড়ে দেখে আমি সিদ্ধান্ত নেব।" তবে নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতার করার পর সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে বিধানসভাকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি যে স্পিকার ভাল ভাবে নেননি তা এ দিন বুঝিয়ে দেন তিনি।
সোমবার সিবিআই বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, গত ৭ মে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের দেওয়া অনুমতির উপর নির্ভর করেই মন্ত্রী-বিধায়কদের গ্রেফতার করা হয়। এই প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন স্পিকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy