ছবি: সংগৃহীত
নারদ কাণ্ডে একই দিনে সিবিআই এবং ইডি-র জেরার মুখে পড়লেন তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতা। সোমবার সকালে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজির হন তৃণমূল সাংসদ মুকুল রায়। আর সকাল সাড়ে আটটায় রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী পৌঁছে যান সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র অফিসে।
এ রাজ্যে ২০১৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে স্টিং অপারেশন চালান সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েল। শুভেন্দুকে টাকার বান্ডিল নিতে দেখা যায়। মুকুলকে টাকা নিতে দেখা না-গেলেও আইপিএস অফিসার এস এম এইচ মির্জা ক্যামেরার সামনে বলেন, তিনি মুকুলের হয়ে টাকা নিচ্ছেন। তদন্তে নেমে অভিযুক্ত ১৩ জন মন্ত্রী, সাংসদ ও পুলিশকে একের পর এক ডেকে পাঠাচ্ছে ইডি ও সিবিআই। সিবিআই এ দিন ডেকেছিল মুকুলকে। সাত ঘণ্টা পরে সিবিআই-এর দফতর থেকে বের হন তিনি। সূত্রের দাবি, নিজের ভবানীপুরের বাড়িতে এ দিন ম্যাথুর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা স্বীকার করেছেন মুকুল। তবে দাবি করেছেন, তাঁর কাছ থেকে নিজে হাতে কোনও টাকা নেননি। মির্জার কাছে ম্যাথুকে যেতে বলেছিলেন বটে, কিন্তু টাকা দিতে বলেননি।
আরও পড়ুন: ধর্মগুরুর নির্দেশে বন্ধে অনড় গুরুঙ্গ
মঙ্গলবার তৃতীয় বারের জন্য ডাকা হয়েছিল শুভেন্দুকে। আচমকাই তার আগের দিন এ দিন সকাল সাড়ে আটটায় শুভেন্দু হাজির হয়ে যান সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে। রবিবার রাতে তিনি ইডিকে জানান, এ দিন সকাল সকাল তিনি তাদের দফতরে আসবেন। প্রায় চার ঘণ্টা তিনি ইডি দফতরে ছিলেন। ইডি সূত্রের খবর, ম্যাথুর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন পরিবহণমন্ত্রী। জেরায় জানিয়েছেন, নির্বাচনের জন্য অ্যাকাউন্ট খুলে তাতে তিনি সেই টাকা রেখেছিলেন। নির্বাচনে ব্যবহারও করেছেন।
সূত্রের খবর— পরিবহণমন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী, ম্যাথুর থেকে টাকা নেওয়ার পরেই নির্বাচন সংক্রান্ত অ্যাকাউন্ট খোলেন শুভেন্দু। কথোপকথনের যে ফুটেজ মিলেছে, সেখানে ম্যাথু নির্বাচনের জন্য টাকা দিচ্ছেন বলে উল্লেখ রয়েছে বলেও দাবি শুভেন্দুর।
১২ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার তৃতীয় বারের জন্য ডাকা হয়েছিল শুভেন্দুকে। সোমবার এত সকালে ইডি অফিসে শুভেন্দুর হাজিরা প্রধানত সাংবাদিকদের এড়িয়ে যাওয়ার জন্যই বলে তৃণমূল নেতাদের একাংশ মনে করছেন। যদিও বেরোনোর সময়ে সাংবাদিকরা তাঁকে দেখে ফেলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy