Advertisement
E-Paper

মোদীর চাপে সিবিআই কর্তারা, সরব মমতা

তাঁর বক্তব্য, ‘‘অফিসারদের কোনও দোষ নেই। প্রধানমন্ত্রী অফিসারদের বাড়িতে ডেকে বলছেন, কিছু তো করুন। বিরোধীদের ভাঙতে কিছু করুন।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:১৯
—ছবি পিটিআই।

—ছবি পিটিআই।

সিবিআই, ইডির মতো সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আচরণের অভিযোগ তিনি রোজই করছেন। এর আগে সিবিআইয়ের শীর্ষকর্তাদেরও নিশানা করেছেন বারবার। কিন্তু এবার অফিসারদের দোষারোপ না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আঙুল তুললেন শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘অফিসারদের কোনও দোষ নেই। প্রধানমন্ত্রী অফিসারদের বাড়িতে ডেকে বলছেন, কিছু তো করুন। বিরোধীদের ভাঙতে কিছু করুন।’’

সারা দেশেই বিরোধীরা কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে। এদিন সেই সূত্রেই মমতা বলেন, ‘‘যে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করছে, তাঁর বিরুদ্ধেই এ সব চলছে। এই যে আমি কেন্দ্রের বাজেট সম্পর্কে আপত্তি করছি, আমাকেও গ্রেফতার করতে পারে। করুক কোনও আপত্তি নেই। তার জন্য কি আমি কথা বলা বন্ধ করে দেব?’’ বৃহস্পতিবারই তৃণমূলনেত্রীর দীর্ঘদিনের সহকারী মানিক মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। শুধু তাই নয়, রাজ্যসভার আরেক সাংসদকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বিক্রি সংক্রান্ত তথ্য পেতে সিবিআইয়ের এই তৎপরতা বিরোধীদের হেনস্থা করার জন্য বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘যিনি অফিস দেখভাল করেন, তাঁকে ডাকছে। ৩০-৪০ বছর কাজ করছেন। এরপর তো যিনি রান্না করেন, তাঁকে ডেকে পাঠাবে।’’

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি তাঁর ছবি বিক্রির প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমার ছবি তো গোপনে বিক্রি হয়নি। প্রদর্শনীতে কয়েক শ’ ছবি ছিল সেখানে। একটি-দু’টিই বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। ২০ হাজারে বিক্রি হয়েছে, এমন ছবিও তো আছে তার মধ্যে। যা হয়েছে সব চেক-এ। সেই টাকার বড় অংশ তো মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের ত্রাণ তহবিলে দেওয়া হয়েছে। কিছু টাকা দেওয়া জাগো বাংলার তহবিলে। যা থেকে দলের নির্বাচনী খরচ মেটানো হয়।’’ বিজেপিতে চলে যাওয়া তৃণমূলের এক প্রাক্তন নেতার নাম করে তিনি বলেন, ‘‘মাঝে কিছু সময় তিনি এ সব দেখতেন। কিছু গোলমাল ছিল। পরে আমরা আইন মতো ঠিক করে নিয়েছি।’’

এদিন রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে অর্থনৈতিক অপরাধের তদন্তে একটি বিশেষ বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের মতো সংস্থার কাজকর্ম নিয়ে রাজ্য যে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে যাচ্ছে তা আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সিবিআইয়ের পাল্টা হিসাবে রাজ্য পুলিশের সিআইডি, এসটিএফ ছাড়াও অপরাধ দমন সংক্রান্ত একটি বিভাগ তৈরির কথা কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৬১ জনের এই বিভাগের মাথায় থাকবেন একজন আইপিএস।

Mamata Banerjee CBI Narendra Modi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy