বাঁ দিক থেকে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ছবি: সংগৃহীত।
পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের আর্জি নিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে ওই আবেদন করা হয়েছে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি শাহজাহান শেখের বাড়িতে ইডির অভিযানের অব্যবহিত পর সরবেড়িয়া-সহ সন্দেশখালিতে উত্তেজনার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নারী নির্যাতন, জমি বেদখল-সহ একের পর এক অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের বড় অংশ। নাম জড়ায় শাসকদলের কয়েক জন নেতার। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা সন্দেশখালি ঘুরে গিয়েছেন। পাশাপাশি সন্দেশখালি ঘুরে জাতীয় তফসিলি কমিশনের প্রতিনিধিরা রিপোর্ট দেয় কেন্দ্রকে। কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার জন্য সুপারিশ করেন। তিনিও রাষ্ট্রপতি মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেছেন। যার প্রেক্ষিতে বাংলার শাসকদল চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলে, ‘‘ক্ষমতা থাকলে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে দেখান।’’ এই প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি মুর্মুর সঙ্গে সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে কথা বলতে যান জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন শর্মা। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘সন্দেশখালি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ওই রাজ্য থেকে আগেও হিংসার অনেক ঘটনার খবর উঠে এসেছে। রাজ্য সরকার ওই সব ঘটনার প্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপই করেনি রাজ্য সরকার। তাই, জাতীয় মহিলা কমিশন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ওই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার সুপারিশ করেছে।’’ তিনি আরও জানান, বাংলার পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি সচেতন এবং প্রতিনিয়ত খবরাখবর নিচ্ছেন।
মঙ্গলবারই সন্দেশখালি মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। পাশাপাশি, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজ্য পুলিশের হাতে ধৃত শাহজাহানকেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলে আদালত। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে তৃণমূল সরকার। যদিও তাদের দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। অন্য দিকে, হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নিতে ভবানী ভবন গিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy