— ছবি সংগৃহীত
পশ্চিমবঙ্গে ভোট-পরবর্তী অশান্তির বিষয়ে অভিযোগ গ্রহণের সময়সীমা বাড়াল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তারা সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আজ, মঙ্গলবারেও সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কমিশনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানানো যাবে।
প্রাথমিক ভাবে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল, তাদের প্রতিনিধিরা রবি ও সোমবার অভিযোগ জমা নেবেন। এ দিন বিকেলে কমিশন তাদের বর্ধিত সময়সূচি জানায়।
কমিশনের এই ‘সক্রিয়তা’ নিয়ে এ দিন অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে তিনি বলেন, “ভোটের পরে কোথাও একটা-দু’টো ছোট ঘটনা ঘটলেও আমরা কড়া ভাবে তার মোকাবিলা করেছি। কী এমন ঘটেছে? এরা রাজনীতি করার জন্য এ-সব করছে। কখনও রাজ্যপাল চলে যাচ্ছেন এর-ওর বাড়ি! এটা রুটিন হয়ে গিয়েছে। কখনও মানবাধিকার কমিশনকে পাঠাচ্ছে।’’
সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরে সিআরপি-র অফিসে কমিশনের প্রতিনিধিদলের অস্থায়ী অফিস খোলা হয়েছে। এ দিন সকাল থেকে অনেকে সেখানে হাজির হন। তাঁদের লম্বা লাইনে পারস্পরিক দূরত্ব ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশও ছিল। কমিশন সূত্রের খবর, অভিযোগের বহর দেখে মনে করা হচ্ছে, সময় বাড়ালে আরও অভিযোগ জমা পড়তে পারে। তাই সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। তবে গত দু’দিনে মোট কত অভিযোগ জমা পড়েছে, সেই ব্যাপারে ওই সূত্র নীরব। রাজ্যের বিজেপি নেতাদের একাংশের দাবি, তাঁদের কর্মীরাই হিংসার শিকার। তাই অভিযোগকারীদের প্রায় সকলেই বিজেপি কর্মী বা সমর্থক।
মমতার অভিযোগ, “বিজেপি এ দিন যাঁদের নিয়ে গিয়েছিল, তাঁদের অনেককেই সাজিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। দু’-একটা কেস থাকতেই পারে। কিন্তু বাকি সব বিজেপির সাজানো। যখন বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ২০ জনের বেশি একসঙ্গে যাওয়ার কথা নয়, সেখানে বিজেপি গাড়ি ভাড়া করে তাঁদের ওখানে নিয়ে গিয়েছে।’’
জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল এ রাজ্যে এসেছে। কাল, বুধবার ফের ওই মামলার শুনানি রয়েছে। কমিশনের প্রতিনিধিদলের তরফে সেখানেই রিপোর্ট পেশ করা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy