E-Paper

শাস্তির মুখে রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজ

প্রত্যেক বছর দেশের সব মেডিক্যাল কলেজকে তাদের স্নাতকোত্তর স্তরের পঠনপাঠন সম্পর্কিত ‘অ্যানুয়াল ডিক্লারেশন রিপোর্ট’ (এডিআর) জমা দিতে হয় এনএমসি-র কাছে।

পারিজাত বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৫ ০৮:৫৫
জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন।

জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন। —ফাইল চিত্র।

মেডিক্যালে স্নাতকোত্তর স্তরের পঠনপাঠন সংক্রান্ত তথ্য জমা না দেওয়ার শাস্তিস্বরূপ এ বার ‘জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনের’ (এনএমসি) চড়া জরিমানার মুখে পড়েছে এসএসকেএম ও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ।

শুধু তাই নয়, সময়মতো রাজ্যের বহু মেডিক্যাল কলেজে বায়োমেট্রিক হাজিরা ব্যবস্থা চালু না-হওয়ায় গত বছর প্রায় আড়াই কোটি টাকা জরিমানা ধার্য করেছিল জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন। রাজ্যের তরফে তা মকুবের আবেদন জানানো হয়। কিন্তু গত বুধবার এনএমসি থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, সেই জরিমানা মকুব হচ্ছে না।

প্রত্যেক বছর দেশের সব মেডিক্যাল কলেজকে তাদের স্নাতকোত্তর স্তরের পঠনপাঠন সম্পর্কিত ‘অ্যানুয়াল ডিক্লারেশন রিপোর্ট’ (এডিআর) জমা দিতে হয় এনএমসি-র কাছে। কিন্তু গত ২৯ ও ৩০ এপ্রিল দু’টি চিঠিতে এনএমসির সচিব জানিয়েছেন, পর পর তিন বার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও দেশের ২০টি মেডিক্যাল কলেজ গত শিক্ষাবর্ষের এডিআর জমা দেয়নি। সেই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের এসএসকেএম এবং মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। শাস্তি হিসাবে তাদের স্নাতকোত্তর স্তরে পাঠ্যক্রম-পিছু ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন।

কেন তারা সময়মতো রিপোর্ট জমা করেনি? এসএসকেএমের ডিন অভিজিৎ হাজরা বলেন, ‘‘আমরা গত বছর ৯ নভেম্বর রিপোর্ট জমা করেছি এবং পুনর্নবীকরণের টাকাও জমা করেছি। কিন্তু কোনও যান্ত্রিক সমস্যার জন্য তা এনএমসি-র কাছে পৌঁছয়নি। টাকাও আমাদের অ্যাকাউন্ট থেকে কাটেনি। পুরো বিষয়টাই মেডিক্যাল কমিশনকে জানিয়েছি। এখনও উত্তর আসেনি।’’ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দীএবং ডিন রামনারায়ণ মাইতিকে একাধিক বার ফোন করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

এরই মধ্যে আবার গত বুধবার এনএমসি-র তরফে রাজ্যের একাধিক সরকারি মেডিক্যাল কলেজকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, সময়মতো বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু না করার জন্য তাদের উপর যে জরিমানা গত বছর ধার্য করা হয়েছিল, তা মকুব করা হচ্ছে না। এই জরিমানার মোট টাকার পরিমাণ প্রায় আড়াই কোটি টাকা। জরিমানা মকুবের জন্য রাজ্যেরতরফে করা আবেদন কমিশন খারিজ করে দিয়েছে।

এর মধ্যে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের জরিমানার অঙ্ক ২২ লক্ষ টাকা, এসএসকেএমের ১৮ লক্ষ টাকা, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের ১৫ লক্ষ টাকা, মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের যথাক্রমে ১৫ লক্ষ টাকা এবং বাকি সব মেডিক্যাল কলেজের কমবেশি ১২ লক্ষ টাকা।

এ ব্যাপারে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বলেন, ‘‘আমরা আবার জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনের কাছে টাকা মকুবের আবেদন জানাতে চলেছি। রাজ্যের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ২০২৪ সালের মার্চেই বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু হয়েছে। তা হলে তো জরিমানা দেওয়ার মানে হয় না। সেটাই আমরা ওদের জানাব।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Medical Colleges

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy