Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
West Bengal News

বাংলায় চল্লিশ চোরের রাজত্ব চলছে: আক্রমণে কৈলাস বিজয়বর্গীয়

তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করল বিজেপি। কলেজ স্কোয়্যারের প্রতিবাদ সভা থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের মন্তব্য— এ রাজ্যে সংবিধান নির্দিষ্ট আইন চলে না, মমতা আর তাঁর চল্লিশ চোরের তৈরি করা আইন চলে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর চড়াতে শুরু করল বিজেপি। —ফাইল চিত্র।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর চড়াতে শুরু করল বিজেপি। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৭ ১৭:৪৮
Share: Save:

তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করল বিজেপি। কলেজ স্কোয়্যারের প্রতিবাদ সভা থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের মন্তব্য— এ রাজ্যে সংবিধান নির্দিষ্ট আইন চলে না, মমতা আর তাঁর চল্লিশ চোরের তৈরি করা আইন চলে। বিরোধীদের শেষ করতে চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, অন্য কোনও দলকে তিনি রাজনীতি করতে দিতে চান না, অভিযোগ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের। নকশালবাড়ির দুই বিজেপি কর্মীকে তৃণমূলে সামিল করতে তাঁদের অপহরণ করা হয়েছিল বলেও কৈলাস বিজয়বর্গীয় এ দিন তোপ দেগেছেন।

নকশালবাড়ি কাণ্ডের প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার কলকাতায় প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপি। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ই সে কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন। কলেজ স্কোয়্যারের প্রতিবাদ সভা থেকে তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় রোজ গণতন্ত্রের হত্যা হচ্ছে।’’ নকশালবাড়িতে গিয়ে যাঁদের বাড়িতে দুপুরে ভাত খেয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, সেই রাজু মাহালি-গীতা মাহালিকে জোর করে দলবদল করানো হয়েছে বলে বিজয়বর্গীয়ের অভিযোগ। তাঁদের অপহরণ করা হয়েছিল বলেও বিজয়বর্গীয়ের দাবি।

নকশালবাড়ির ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে বিজেপির প্রায় গোটা রাজ্য নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়েই বৃহস্পতিবার পথে নেমেছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। —ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ দিন তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক। এ রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা বলতে আর কিছু নেই, মন্তব্য তাঁর। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, ‘‘সংবিধানে যে আইন রয়েছে, তা এখানে চলে না। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবং তাঁর আলিবাবা-চল্লিশ চোরের তৈরি করা আইন চলে।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে কোনও বিরোধী দল থাকতে দিতে চান না, বিরোধীদের তিনি সম্পূর্ণ দমিয়ে দিতে চান— মন্তব্য কৈলাসের। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে বাম আমল থেকেই বিরোধীদের শেষ করে দেওয়ার রাজনীতি শুরু হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে সেই প্রবণতা আরও বেড়ে গিয়েছে।’’

আরও পড়ুন: ভবানীপুরেও দলবদলের চাপ, সন্ধ্যা-আলপনাদের বাড়িতে পৌঁছলেন লকেট

মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের মন্তব্য, চাপ দিয়ে বা ভয় দেখিয়ে বিজেপিকে দমন করা যাবে না। বিজেপিকে এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল আখ্যা দিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘‘বিজেপি কোনও ব্যক্তিকেন্দ্রিক দল নয়। আমরা দেশের জন্য রাজনীতি করি, ব্যক্তির জন্য নয়। আমরা দেশকে মহান বানানোর জন্য রাজনীতি করি, কোনও ব্যক্তিকে মহান বানানোর জন্য নয়।’’ বিজেপি-র প্রত্যেক কর্মী আদর্শের জন্য লড়েন বলেই বিজেপি-কে দমানো যাবে না, দাবি কৈলাসের। তৃণমূলের কর্মীরা আদর্শের জন্য নয়, দুর্নীতির জন্য কাজ করেন— কটাক্ষ বিজেপি নেতার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE