সেই রাস্তা। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ থেকে।
নেতাই মামলায় ফুল্লরা মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেল কলকাতা হাই কোর্টে।
নেতাই গণহত্যা মামলার একমাত্র মহিলা আসামী ফুল্লরা। এককালে অবিভক্ত মেদিনীপুরের সিপিএমের জোনাল কমিটির সদস্য ছিলেন। আবার জেলা পরিষদের সদস্যও ছিলেন। এখন ঠিকানা সংশোধনাগার। গত ১০ বছর ধরে সেখানেই রয়েছেন। কলকাতা হাই কোর্টে কিছুদিন আগে জামিনে মুক্তির আবেদন করেছিলেন। ফুল্লরার সেই আবেদন সোমবার খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই আদালতে ফুল্লরার আবেদনের বিরোধিতা করেছিল। আদালতকে তারা জানিয়েছিল ফুল্লরা মাওবাদীদের আশ্রয়দাতা। নেতাই গণহত্যার দিন মাওবাদীদের সাহায্য করেছিলেন ফুল্লরা।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামে দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে মারা যান ন’জন গ্রামবাসী। জখম হয়েছিলেন ২৮ জন। এঁরা প্রত্যেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে মিছিলে নেমেছিলেন। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদ মিছিল। স্থানীয় সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সেই মিছিল লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ দায়ের হয়। মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। গ্রেফতার হয় ১২ জন। ফুল্লরা তাঁদের মধ্যে একজন।
লালগড় থানার নেতাই গ্রামেই বাড়ি ফুল্লরা। বিয়ে করেননি। নেতাইয়ের মণ্ডলপাড়ায় বাবার বাড়িতে থাকতেন। নেতাই মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, ১৪৮,১৪৯, ৩২৬, ৩০৭, ৩০২ এবং অস্ত্র আইনের ২৫/২৭ ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল ফুল্লরা-সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে। তিনিই একমাত্র মহিলা যাঁর নামে জোট বেঁধে অভিযোগ করেছিলেন নেতাইয়ের গ্রামবাসীরা।
সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি বিভাসরঞ্জন দে’র ডিভিশন বেঞ্চ ফুল্লরার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy