কিছুদিনের মধ্যে বাজারে আসতে চলেছে নতুন প্রজাতির আলু ‘আটলান্টা’। নেদারল্যান্ডস থেকে এই আলুর বীজ এনে ইতিমধ্যেই চাষ শুরু করেছেন পঞ্জাবের চাষিরা। এই রাজ্যের আলু চাষিরা সেখান থেকে বীজ এনেছেন।
আলু চাষের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী সমিতির নেতা দিলীপ পতিহার জানালেন, এই আলু ‘প্রসেস’ করে তৈরি হচ্ছে, আলু চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, আলু টিক্কা। এই রাজ্যে সব থেকে বেশি ফলন হয় জ্যোতি আলুর। কিন্তু জ্যোতি আলুর প্রক্রিয়াকরণ সম্ভব না হওয়ায় আটলান্টার দিকে ঝুঁকছেন বেশ কিছু বড় আলু চাষি। প্রক্রিয়াকরণ করা যায় না চন্দ্রমুখী আলুরও।
আনাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করা টাস্কফোর্সের সদস্য কমল দে জানান, পশ্চিমবঙ্গে বছরে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়। বছরে রাজ্যের আলুর চাহিদা ৬০ লক্ষ মেট্রিক টন। এ ছাড়াও মিড-ডে মিল ইত্যাদির জন্য ২০ লক্ষ মেট্রিক টন মজুত থাকে। বাকিটা চাষিরা প্রয়োজন মতো বিক্রি করেন। দিলীপবাবু জানান, এই রাজ্যে একটি বহুজাতিক সংস্থা আলুর প্রক্রিয়াকরণ করে বিক্রি করছে। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই আটলান্টা চাষের উদ্যোগ।
মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার অবশ্য বলেন, ‘‘নেদারল্যান্ডস থেকে বীজ এনে চাষ করা যেতেই পারে। তবে রাজ্য কৃষি দফতর মেদিনীপুরের কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে নতুন আলুর বীজ তৈরির কাজ শুরু করেছে। এ আলুর ফলন ভাল হবে। প্রসেসও করা যাবে সেই নতুন আলুর নাম মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy