প্রতীকী ছবি।
সম্প্রতি এ রাজ্যে সিবিআই তদন্তের ‘জেনারেল কনসেন্ট’ প্রত্যাহার করে নিয়েছে নবান্ন। এর পরেও গত মঙ্গল ও বুধবার বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে কলকাতায় আরও ছ’টি মামলা দায়ের করেছে সিবিআই। এর পাশাপাশি সারদা গোষ্ঠী জঙ্গলমহলের জন্য যে ২২টি অ্যাম্বুল্যান্স দিয়েছিল, তার মধ্যে ৯টি উদ্ধার করে হেফাজতেও নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সারদার অ্যাম্বুল্যান্স বিলি প্রকল্পে কারা জড়িয়ে ছিলেন, এ বার তা নিয়েও তদন্ত করতে চায় তারা।
সব কটি মামলার ক্ষেত্রেই সিবিআইয়ের ঢাল অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ। ছ’টি মামলাতেই সিবিআই আদালতকে জানিয়েছে, সারদা-সহ বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য ২০১৩ সালের মে মাসে সর্বোচ্চ আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা অনুসরণ করেই তদন্ত শুরু করা হচ্ছে। যে ছ’টি সংস্থা ও তার মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, তাদের কয়েকটি ভিন্ রাজ্যের। কিন্তু অভিযোগকারীরা সকলেই এ রাজ্যের। মোটা টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সংস্থাগুলি তাঁদের বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করেছিল বলে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
সিবিআই সূত্রের খবর, যে সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সেগুলি হল ‘গ্লোবাল মাল্টি ট্রেড ফরেক্স প্রাইভেট লিমিটেড’, ‘গোল্ড এন ট্রেড’, ‘এক্সোটিক গিফট প্রাইভেট লিমিটেড’, ‘টিভিআইএক্সপ্রেস.কম’, ‘জয়ো কনসেপ্ট মার্কেটিং প্রাইভেট লিমিটেড’ এবং ‘ওয়েল্থলাইন প্রোমোটার্স’। হাসিমারা, জলপাইগুড়ি, দিল্লি, হায়দরাবাদের এই সব সংস্থা সোনা, বিদেশি মুদ্রা, জমি, অথবা ভুয়ো ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার মাধ্যমে কয়েকশো কোটি টাকা করে তুলেছিল বলে অভিযোগ।
সিবিআইয়ের এক কর্তার বক্তব্য, ‘‘সারদা তদন্তেরই ৫৩১টি মামলা রয়েছে। সিবিআই আরও ১২৪টি মামলা দায়ের করবে। তার মধ্যে এ বছরে নেওয়া হচ্ছে ১২টি নতুন মামলা। নভেম্বরে ছ’টি দায়ের হয়েছে। ডিসেম্বরেও আরও ছ’টি দায়ের হবে।’’ ওই সিবিআই কর্তার দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চলা তদন্তে রাজ্যের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
সিবিআই সূত্রে আরও বলা হচ্ছে, সারদা তদন্তে আরও কিছু নতুন তথ্য পাওয়া গিয়েছে। মহাকরণের সামনে অনুষ্ঠান করে জঙ্গলমহলের জন্য অ্যাম্বুল্যান্স দিয়েছিল সারদা গোষ্ঠী। সেই অনুষ্ঠানে কোন কোন আমলা উপস্থিত ছিলেন তার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy