বুধবার দুপুরে এই আবাসনে এনকাউন্টার হয়। ফাইল ছবি
২ মোস্ট ওয়ান্টেডকে ধরতে বুধবার দুপুরে নিউ টাউনের আবাসনে হানা দিয়েছিল রাজ্য পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাহিনীর ৩৪ জনের দল। পঞ্জাব থেকে এসে নিউ টাউনে লুকিয়ে থাকা ২ গ্যাংস্টারকে নিকেশ করতে সে দিন মোট ৩৬ রাউন্ড গুলি চালতে হয়েছিল ওই বাহিনীকে। এসটিএফের রিপোর্টে উঠে এল এমনই তথ্য।
এনকাউন্টারে ২ আইপিএস অফিসার এবং ২ কম্যান্ডো গুলি চালিয়েছিলেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। গ্যাংস্টারদের কাবু করতে ওই দিন এসটিএফের এডিজি বিনীত গোয়েল ২ রাইন্ড গুলি চালান। আইজি রাজেশ যাদবও চালান ২ রাউন্ড গুলি। ১০ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিলেন এএসআই অভিজিৎ ঘোষ। কনস্টেবল অমিত চট্টোপাধ্যায় অ্যাসল্ট রাইফেল দিয়ে ২২ রাউন্ড গুলি চলান। কম্যান্ডো অভিজিৎ এবং অমিত মোট ৩২ রাউন্ড ফায়ার করেন। গোলাগুলির পর্বে ৪৮০ স্কোয়্যার ফুটের ফ্ল্যাটের শয়নকক্ষেই ছিল ২ গ্যাংস্টার। পুলিশ প্রথমে গ্যাংস্টারদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দিয়েছিল। না শোনাতেই পুলিশ গুলি চালায় বলে ঘটনার পর জানিয়েছিলেন এসটিএফের এডিজি বিনীত গোয়েল।
পঞ্জাব পুলিশের দেওয়া তথ্যের সূত্রে ধরে পঞ্জাবের গ্যাংস্টারদের ধরতে ১৯ জনের এসটিএফের একটি দল এবং এসএসএফ ইউনিটের ১৫ জন যান সাপুরজি আবাসনে। এসটিএফ বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন এডিজি বিনীত গোয়েল। এর মধ্যে ১৬ জন এসটিএফ আধিকারিক সরাসরি নিজেদের কর্মস্থল থেকেই সাপুরজি আবাসনে গিয়েছিলেন। বাকি ৩ জন পরে এসে যোগ দেন।
এনকাউন্টারের পর ভুল্লারদের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ৫টি রিভলবার, ২টি গ্লক পিস্তল, ২টি ৯ এমএম এবং উইলসন রিভলভার পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবার ফরেন্সিক দল জয়পাল ও যশপ্রীতের দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। জিএসআর বা গানশট রেসিডিই-ও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে জানান এক ফরেন্সিক আধিকারিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy