সোমবার, স্বাস্থ্য দফতরের ওই নয়া নির্দেশিকায় রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে চারটি জ়োনে ভাগ করা হয়েছে। রাজ্যের সব ক’টি মেডিক্যাল কলেজ ও স্নাতকোত্তর পাঠের হাসপাতালগুলিকে ভাগ করে রাখা হয়েছে ওই চারটি জ়োনে।
প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের সরকারি শিক্ষক-চিকিৎসকদের জন্য নতুন বদলি নীতি প্রকাশ করল স্বাস্থ্য দফতর।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কলকাতা ও লাগোয়া শহরতলির বাইরে বাংলার যে বিস্তীর্ণ এলাকা, বিশেষ করে পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরবঙ্গের কোনও না কোনও জেলায় চাকরি জীবনের অন্তত অর্ধেক সময় একলপ্তে কিংবা পর্যায়ক্রমে কাটাতেই হবে শিক্ষক-চিকিৎসকদের। তবে স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্যাডার কিংবা প্রশাসনিক ক্যাডারদের মতো স্বাস্থ্য-শিক্ষা ক্যাডারের আওতায় থাকা শিক্ষক-চিকিৎসকদের যে নিয়মিত রুটিন বদলি হবে না, সে কথাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। বলা হয়েছে, ‘শিক্ষক-চিকিৎসকদের বদলি হবে একমাত্র চিকিৎসা ও মেডিক্যাল পঠনপাঠনের স্বার্থেই।’
সোমবার, স্বাস্থ্য দফতরের ওই নয়া নির্দেশিকায় রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে চারটি জ়োনে ভাগ করা হয়েছে। রাজ্যের সব ক’টি মেডিক্যাল কলেজ ও স্নাতকোত্তর পাঠের হাসপাতালগুলিকে ভাগ করে রাখা হয়েছে ওই চারটি জ়োনে।
এর মধ্যে কলকাতা জ়োন-১। কলকাতার লাগোয়া দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিকে নিয়ে জ়োন-২। পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা নিয়ে জ়োন-৩ এবং উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিকে নিয়ে জ়োন-৪।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চাকরি জীবনের শুরুতে পছন্দের জ়োনে কাজে যোগ দিতে পারবেন শিক্ষক-চিকিৎসকেরা। তা কলকাতা কিংবা তার শহরতলিও হতে পারে। সন্তানের একক অভিভাবক, স্বামী-স্ত্রী উভয়েই শিক্ষক-চিকিৎসক, সন্তানের শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধকতা এবং চিকিৎসকের নিজস্ব কোনও প্রতিবন্ধকতার ক্ষেত্রে অবশ্য তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার বা পোস্টিংয়ের বিষয়টি মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করবে স্বাস্থ্য দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy