Advertisement
E-Paper

এনআইএ-র জাল কেটে পালায় আরও চার

এনআইএ’র দিল্লির দলটি এলাকা সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল না থাকায় আরও চার জন জঙ্গি জাল কেটে পালায়।

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:৩৫
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

শনিবার ভোরে মুর্শিদাবাদের ডোমকল-জলঙ্গি থেকে ছ’জন আল কায়দা জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে বলে দাবি করেছে এনআইএ। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু জেহাদি নথি ও অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। কিন্তু শনিবারের অপারেশন পুরোপুরি সফল ছিল না। কারণ, এনআইএ’র দিল্লির দলটি এলাকা সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল না থাকায় আরও চার জন জঙ্গি জাল কেটে পালায়। তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকলেও ঠিক সময়ে ঠিক স্থানে পৌঁছতে না পারায় এনআইএ’র দিল্লির দল ওই চার জনকে ধরতে পারেনি বলে সংস্থা সূত্রেই জানা গিয়েছে। জলঙ্গির খুব কাছে বাংলাদেশ সীমান্ত থাকায় তারা ওপারে চলে যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

সংস্থা সূত্রের খবর, শনিবারের অপারেশনে এনআইএ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে বিএসএফের জওয়ানেরা ছিলেন। জলঙ্গি ও ডোমকল থানা তল্লাশির ব্যাপারে জানলেও প্রত্যক্ষ সহায়তায় ছিল না।সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাপারে নির্দিষ্ট খবর থাকলেও নাম বিভ্রাটে সে দিন প্রথম যে তিন জনকে এনআইএ আটক করে, তাঁরা ‘প্রকৃত’ টার্গেট ছিলেন না। সেই ভুল ভাঙতেই কিছু সময় চলে যায়। ওই তিন জনের মধ্যে এক জন বাকিদের কাছে পৌঁছতে সাহায্য করেন। পর পর ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে ধরা পড়া তিন জনকে ছেড়ে দেয় এনআইএ। বাকি যে চার জনকে ধরার কথা ছিল, তাদের বাড়ি পৌঁছে দেখা যায়, তারা আর এলাকায় নেই।

এনআইএ’র একটি সূত্র জানাচ্ছে, জলঙ্গি এবং ডোমকল থানা এলাকার পাঁচ-ছ’টি স্থানে একসঙ্গে অপারেশন চলছিল। কিন্তু এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে দেখে এনআইএ প্রত্যেকের বাড়িতে ঢুকে দীর্ঘ ‘সার্চ অ্যান্ড সিজার’ অপারেশন চালাতে পারেনি। শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধরে এলাকা থেকে বেরিয়ে আসার কাজটাই করা হয়েছে।

সংস্থার আরও দাবি, আনসার গজওয়াত-উল-হিন্দ এর সংস্পর্শে এসে এর্নাকুলামের মুর্শিদ হাসান প্রথম আল কায়দার নেটওয়ার্কে জড়িয়ে পড়েছিল। পড়াশোনা সামান্য হলেও ডার্ক ওয়েবে সে বেশ সক্রিয় ছিল। তার মাধ্যমেই মধুপুরের মইনুল মণ্ডল জেহাদি নেটওয়ার্কে জড়িয়ে পড়ে। বছর দুই আগে সে কেরলে ছিল। তার পর ফিরে এসেছিল জলঙ্গিতে। জলঙ্গি এবং ডোমকল থানা এলাকায় পাঁচ-ছয়টি গ্রামের ১০ জন যুবককে নিয়ে সে আল কায়দার স্থানীয় মডিউলটি তৈরি করেছিল। ধীরে ধীরে ওই মডিউলের হ্যান্ডলার পাকিস্তানি চাঁই তাদের অস্ত্রশস্ত্র জোগাড় করতে নির্দেশ দিয়েছিল। সেই মতো চকলেট বোমার মশলা জোগাড় করে সকেট বোমা তৈরি, দেশি একনলা পিস্তল কেনা, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট তৈরি হয়েছিল। তল্লাশিতে গিয়ে উদ্ধার হওয়া ধাতব জ্যাকেটে গুলি করে সেটির প্রতিরোধ ক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়।

Terrorism NIA Arrest Domkal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy