চলন্তে ট্রেনে ৯ বছরের এক শিশুকন্যার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল রেলেরই এক ঠিকা কর্মীর বিরুদ্ধে। শনিবার রাত্রে হুগলির ব্যান্ডেলে এই ঘটনার পরে ওই শিশুর পরিবার রেলপুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করেছেন।
রেল পুলিশ সূত্রে খবর, হালিশহরের বাসিন্দা ওই শিশুকন্যা তার পরিবারের সঙ্গে পাহাড়িয়া এক্সপ্রেসে নিউ জলপাইগুড়ি যাচ্ছিল। ট্রেনের বি১ কামরায় ছিলেন তাঁরা। রাতের খাওয়া দাওয়া সেরে সকলে ঘুমিয়ে পড়েন। ট্রেনটি ব্যান্ডেল স্টেশনে ঢোকার মুখে রেলের ঠিকা সংস্থার এক কর্মী শিশুটির শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। শিশুটির চিৎকারে তাঁর পরিবারের ঘুম ভাঙে। ট্রেনের অন্য যাত্রীরাও উঠে পড়েন। অবস্থা বেগতিক বুঝে ওই রেলকর্মী ট্রেনের ওই কামরা ছেড়ে পালিয়ে যায়। যাত্রীরা ক্ষোভে চেঁচামেচি শুরু করেন। এরপর ট্রেনটি ব্যান্ডেল স্টেশনে ঢুকলে যাত্রীরা প্লাটফর্মে নেমে পড়েন। তাঁদের চিৎকারে রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। নিগৃহীতা কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে ব্যান্ডেল জিআরপিতে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করা হয়। রেল পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে ট্রেনে তল্লাশি শুরু করে। ১৫ মিনিট পরে পাহাড়িয়া এক্সপ্রেস ব্যান্ডেল স্টেশন ছেড়ে যাওয়ায় পুরো ট্রেনে তল্লাশি চালানো সম্ভব হয়নি। তবে এর পরের স্টেশন বর্ধমানের কাটোয়াতে ঢুকলে সেখানে ট্রেন দাঁড় করিয়ে সেখানকার জিআরপি-র পক্ষ থেকে গোটা ট্রেনে অভিযুক্ত কর্মীর খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু খোঁজ না পাওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের কিছু ক্ষণ পরে ট্রেন গন্তব্যস্থলের দিকে রওনা দেয়।
রেল পুলিশের এক কর্তা জানান, ‘‘শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তর খোঁজ চলছে। তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
পূর্ব রেলের মূখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র জানান, ‘‘ওই রেলকর্মীর বিরুদ্ধে যখন শ্লীলতাহানির অভিযোগ হয়েছে, তদন্ত করে দোষী প্রমাণিত হলে, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভাগীয় স্তরেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy