Advertisement
E-Paper

তৃণমূল কর্মী খুনের ২৪ ঘণ্টা পার, এখনও ধরা পড়েনি কেউ! গুলিই চলেনি কালিয়াচকে: পুলিশ

মালদহের কালিয়াচক-কাণ্ডের তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনাক্ত করা হয়েছে ৬ জনকে। বুধবার সকালে স্নিফার ডগ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:২৩
Kaliachak Incident

কালিয়াচকে গন্ডগোলে মৃত্যু হয় এক তৃণমূল কর্মীর, আহত একাধিক। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

মালদহের কালিয়াচকে তৃণমূল কর্মীকে খুনের পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। যে স্থানে গন্ডগোল হয়েছিল, বুধবার সেখানে স্নিফার ডগ নিয়ে যান তদন্তকারীরা। তার মধ্যে পুলিশ জানাল, মঙ্গলবার কালিয়াচকের নয়াবস্তি এলাকায় গুলিই চলেনি। পাল্টা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, গুলি চলেছে। জখম তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখের ভাই আজমল শেখের অভিযোগ, নিরপরাধদের আটক করছে পুলিশ। এখনও মূল অভিযুক্তদের টিকি ছুঁতে পারেনি তারা। সব মিলিয়ে কালিয়াচক-কাণ্ডে রাজনৈতিক চাপানউতর তুঙ্গে।

কালিয়াচকের নয়াবস্তি এলাকায় নিকাশি এবং রাস্তা উদ্বোধনের অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার। ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন কালিয়াচক-১ ব্লকের নওদা যদুপুর এলাকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বকুল। তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বেরই অভিযোগ, বকুলদের দিকে গুলি ছোড়া হয়। রাস্তায় পড়ে যান বকুল। জখম হন তৃণমূলের আরও কয়েক জন। সেখানকার একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)-য় দেখা যায় প্রথমে গুলি চালানো হয় বকুলদের দিকে। তার পর ইট দিয়ে এক জনের মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে বকুল এবং এসারুদ্দিন শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মীকে গুরুতর আহত অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। তাঁদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে হাসান নামে এক জন মারা যান। তৃণমূলের একটি সূত্র বলছে, ভিডিয়োয় যাঁর ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়ার ছবি দেখা গিয়েছে, তিনিই হাসান। তিনি শাসকদলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন।

ওই ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনাক্ত করা হয়েছে ৬ জনকে। বুধবার সকাল থেকে আবার ঘটনাস্থলে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। সঙ্গে রয়েছে স্নিফার ডগ। তার মধ্যে মালদহ জেলা তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সহ-সভাপতি আজমল বলেন, ‘‘গুলি চলেছে। আমার ভাই (বকুল) গুলিতে জখম হয়েছে। কিন্তু পুলিশ সাধারণ মানুষকে ধরছে। অভিযুক্তেরা এখনও অধরা।’’ তিনি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

অন্য দিকে, গন্ডগোলে জখম বকুলের শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। এসারুদ্দিনের আঘাতও গুরুতর। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত এবং আহতদের শরীরে গুলির চিহ্ন মেলেনি। কিন্তু কী ভাবে তৃণমূলের নেতা এবং কর্মীরা জখম হলেন, তার পরিষ্কার জবাব মেলেনি পুলিশের তরফে।

মাত্র ১৩ দিন আগে মালদহের ইংরেজবাজারের তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকারকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। সেই মামলায় এখনও তিন জন অধরা। দুলাল খুনের তদন্তে সিট গঠন করেছে পুলিশ। তার মধ্যে কালিয়াচকের ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতর।

Kaliachak Murder police TMC Malda Crime News
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy