কাউকে গৃহচ্যুত করে বীরভূমের ডেউচা-পাঁচামি কয়লা খনি হবে না বলে ফের আশ্বাস দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘কাউকে গৃহহীন করে কয়লাখনি হচ্ছে না। কাউকে গৃহচ্যুত হতে দেব না।’’
গত বছরই মহম্মদবাজারের ব্লকের ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১টি মৌজার মাটির নীচে সঞ্চিত প্রায় ২১০ কোটি টন কয়লা একক ভাবে তোলার অধিকার পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। খনি গড়ার দায়িত্বে থাকা নোডাল এজেন্সি রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের (পিডিসিএল) মনোনীত সংস্থার কর্মীরা ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে তিন হাজার একর জমিতে বসবাসকারী পরিবারগুলিতে সামাজিক প্রভাব সমীক্ষা করছেন। তার রিপোর্ট এ দিনই পিডিসিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পি বি সেলিম মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ১০০ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এ রাজ্যকে কারও মুখাপেক্ষী থাকতে হবে না। হবে প্রচুর কর্মসংস্থানও। প্রশাসনও বারবার বলেছে, সমীক্ষা মানেই কয়লাখানি গড়া নয়। এটা প্রাথমিক ধাপ। কিন্তু, এত সবের পরেও স্থানীয় মানুষের মনে কিছু দোলাচল তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকার কী শর্তে জমি নেবে, উচ্ছেদ হতে হলে কোথায় যেতে হবে— এমন নানা প্রশ্ন কাজ করেছে স্থানীয়দের মধ্যে। খনি গড়ায় আপত্তি তুলছেন এলাকার আদিবাসীদের একাংশ। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা ভয় কাটাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।