Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
North 24 Parganas

বিধাননগর নিয়েই মাথাব্যথা লাগোয়া জেলায়

পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৪ তারিখে পাওয়া হিসেব অনুযায়ী, গোটা উত্তর ২৪ পরগনার ২৮টি এলাকা বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অধীন।

ছবি এএফপি।

ছবি এএফপি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২০ ০৪:০৩
Share: Save:

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের চিন্তা বাড়িয়ে তুলেছে বিধাননগর কমিশনারেট এলাকা। বিশেষত, বিধাননগর পুর এলাকা। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, গোটা জেলার যতগুলি এলাকা কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসেবে চিহ্নিত, তার বড় অংশই বিধাননগর কমিশনারেট এলাকার অধীন।

পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৪ তারিখে পাওয়া হিসেব অনুযায়ী, গোটা উত্তর ২৪ পরগনার ২৮টি এলাকা বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অধীন। বিধাননগর পুরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে গোটা ওয়ার্ড কিংবা থানা এলাকা নয়, বেছে নেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট কিছু অংশকে। সেই হিসেবে ২১টি কন্টেনমেন্ট জ়োন রয়েছে ওই পুর এলাকায়। আবার দক্ষিণ দমদম, রাজারহাট ও এয়ারপোর্ট থানা এলাকাতেও সাতটি অংশকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এর মধ্যে শুধু বাগুইআটি থানা এলাকাতেই রয়েছে ১৩টি কন্টেনমেন্ট জ়োন। রয়েছে বিধাননগর দক্ষিণ থানা এলাকার পাঁচটি ব্লকের কিছু কিছু অংশ। রাজারহাট থানা এলাকার রাজারহাট-বিষ্ণুপুর দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত ও রেকজোয়ানি, নিউ টাউন থানা এলাকার গৌরাঙ্গনগর এলাকাও চিহ্নিত হয়েছে।

অন্য দিকে, দক্ষিণ দমদম পুরসভার অন্তর্গত লেক টাউন বি ব্লক, ৩৩ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাঘাটা এবং ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণদাঁড়ি এলাকাও চিহ্নিত করা হয়েছে। বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, ১৫টি ওয়ার্ডের প্রতিটি কন্টেনমেন্ট জ়োনে বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহ, থার্মাল গান দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা, এলাকা জীবাণুমুক্ত করা, সচেতনতার প্রচার ও যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

করোনার উপসর্গ থাকায় ইতিমধ্যেই একাধিক ব্যক্তিকে ওই সব এলাকা থেকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত। মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ, বিধাননগরে একাধিক ঘিঞ্জি এলাকা রয়েছে। সেখানে স্বল্প পরিসরে বহু মানুষ বসবাস করেন। তবে পুলিশ ও প্রশাসন মিলে সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE