থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে গ্রেফতার হতে পারেন। এই আশঙ্কায় ডাকযোগেই মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ভালুকা ফাঁড়ির প্রাক্তন ওসির বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করলন পুলিশকে চটিপেটায় অভিযুক্ত বধূ। ওই ফাঁড়িতে গেলে ওসি তাঁকে কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ করে ওই বধূ তাঁকে জুতোপেটা করেন। তার জেরেই পুলিশ ওই বধূ-সহ ১৩ জনের নামে মামলা রুজু করে।
সোমবার ওই বধূ গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দাকে নিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতির মালদহ শাখায় যোগাযোগ করেন। এর পরে আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়ে ডাক মারফত্ ভালুকা ফাঁড়িতে প্রাক্তন ওসি সনত্ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগপত্র পাঠান। আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে ওই বধূ বলেন, “ওই অফিসার আমাকে কুপ্রস্তাব দেন। গ্রামের বাসিন্দারা দল বেঁধে থানায় গিয়ে কেন কুপ্রস্তাব দেওয়া হল তা জানতে চাইলে উনি অস্বীকার করেন। তখন আমি উত্তেজিত হয়ে চটি খুলে ওঁকে মারি।” এই ঘটনায় ওই বধূ সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। সকলেই ঘরছাড়া।
গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতির মালদহ জেলা সম্পাদক জিষ্ণু রায়চৌধুরী বলেন, “একজন মহিলা কতটা অপমানিত হলে এমন কান্ড ঘটাতে পারেন সেটা বুঝতে হবে। পুলিশ এই বধূ সহ গ্রামের বেশ কয়েকজনকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছে বলে আমাদের সন্দেহ। আমরা তাদের পাশে রয়েছি। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না করলে আমরা আদালতে যাব।”