Advertisement
২৭ মার্চ ২০২৩

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণ থমকে বৃষ্টিতে, উদ্বেগ

বৃষ্টিতে নির্মাণ কাজ ব্যাহত হওয়ায় আগামী শিক্ষাবর্ষের আগে স্থায়ী পরিকাঠামো নির্মাণ সম্ভব কিনা, তা নিয়েই উদ্বেগে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নতুন শিক্ষাবর্ষের পঠনপাঠন শুরু হতে আরও মাস দুয়েক বাকি।

এই জমিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল।

এই জমিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৪ ০৩:০৭
Share: Save:

বৃষ্টিতে নির্মাণ কাজ ব্যাহত হওয়ায় আগামী শিক্ষাবর্ষের আগে স্থায়ী পরিকাঠামো নির্মাণ সম্ভব কিনা, তা নিয়েই উদ্বেগে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নতুন শিক্ষাবর্ষের পঠনপাঠন শুরু হতে আরও মাস দুয়েক বাকি। তার মধ্যে চারটি ক্লাসঘর তৈরি না হলে কী ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়ে চিন্তিত কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য ইন্দ্রজিৎ রায় বলেন, “বৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরির কাজ ব্যাহত হচ্ছে। অগস্টের মধ্যে অন্তত কয়েকটি ঘর তৈরির কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। কাজের দায়িত্বে থাকা সংস্থাকেও সে বিষয়ে জানানো হয়েছে।”

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ২০১৩ সালের ১৩ অগস্ট পুন্ডিবাড়িতে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবন ভাড়া নিয়ে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ২০০। জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই দ্বিতীয় শিক্ষাবর্ষের জন্য ছাত্রছাত্রী ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে অগস্ট মাসে এক ধাক্কায় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাবে বলেই কর্তৃপক্ষ মনে করছেন। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ভবনে এখন বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়েছে, সেখানে ৪০০ ছাত্রছাত্রী বসার মতো পরিকাঠামো নেই। সেদিকে লক্ষ রেখেই স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরির কাজ চলছে। গত বছরের ৬ ডিসেম্বর কোচবিহার কৃষি ফার্মের ২০ একর জমিতে স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়। সে সময়ে জানানো হয়, এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ করার চেষ্টা হবে। ৩৪ কোটি ২৬ লক্ষ টাকার ওই প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে ১৯ কোটি ১ লক্ষ টাকার কাজ শুরু করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থায়ী ভবনে দশটি বিভাগের জন্য ২০টি ক্লাসঘর, ৪টি পরীক্ষা হল, ৫টি গবেষণাগার, ১টি গ্রন্থাগার, ২টি রিডিং রুম, প্রশাসনিক ব্লক, উপাচার্যের দফতর, ২টি কমন রুম, সেমিনার হল, ক্যান্টিন, সাইকেল স্ট্যান্ড তৈরি করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফেও একাধিক বার দাবি করা হয়, দ্বিতীয় শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগে অন্তত চারটি ক্লাস ঘর তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে। যদিও, মে মাসের শেষ দিক থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে নির্মাণ কাজ ব্যাহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নির্মাণের দায়িত্বে থাকা সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আরও কিছু দিন বৃষ্টি চললে অগস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ক্লাসঘর তৈরির কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে স্থায়ী পরিকাঠামোর জন্য ভিত তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। লোহার রড বাঁধার কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত গাঁথনির কাজ শুরু করা হবে। পূর্ত দফতরের পরিসদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কথায়, “বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরির কাজ জোরকদমে চলছে। বৃষ্টির জন্য সমস্যা তৈরি হয়েছে। খুব বেশি অসুবিধে হবে না বলেই আশা করছি। দ্বিতীয় শিক্ষাবর্ষে যাতে অসুবিধে না হয় সেদিকে লক্ষ রয়েছে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.