প্রতীকী ছবি।
গামছার ফাঁস গলায় আটকে গিয়ে মৃত্যু হল দশ বছরের এক বালকের। রবিবার রাতে গাজল থানার আনন্দপল্লি এলাকার ঘটনা। পঞ্চম শ্রেণির ওই মৃত ছাত্রের নাম অভিজিৎ বিশ্বাস। পরিবারের অভিযোগ, টিভিতে অপরাধ দমন সংক্রান্ত একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিকের দৃশ্য নকল করতে গিয়েই ওই দুর্ঘটনার শিকার হয় অভিজিৎ।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গাজলের হাজি নাকু মহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র অভিজিতের বাবা পেশায় দিনমজুর। টিভিতে যে কোনও অপরাধ দমন সংক্রান্ত ধারাবাহিক দেখতে পছন্দ করত অভিজিৎ। ওই ধরনের ধারাবাহিক না দেখার জন্য বাবা-মা প্রায়ই তাকে বারণ করতেন। কিন্তু রবিবার রাতে দরজা বন্ধ করে সে ওই ধারাবাহিকটি দেখছিল। তার বাবা জীবন বিশ্বাস ছেলের মৃত্যুতে একেবারে ভেঙে পড়েছেন।
সোমবার তিনি বলেন, ‘‘ছেলে টিভিতে ওইসব সিরিয়াল খুব দেখত। ওকে টিভি দেখতে বারণও করা হয়েছিল বারবার। কিন্তু মানত না। কাল রাতে আমরা খাচ্ছিলাম তখন ও না খেয়ে একাই টিভিতে সিরিয়াল দেখছিল। দরজা বন্ধ ছিল। কিন্তু কীভাবে যে গামছা গলায় জড়িয়ে ফাঁস লাগল তা বুঝতেই পারছি না। খেতে না আসায় অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরেও দরজা খুলছিল না। পরে দরজা ভেঙে ঢুকি। কিন্তু তার আগেই তো
সব শেষ।’’
রাতেই অভিজিতের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
মৃত ছাত্রের এক গৃহশিক্ষক রথীন সান্যাল জানিয়েছেন, টিভিতে অপরাধ সংক্রান্ত বেশ কিছু ধারাবাহিক দেখতে পছন্দ করত অভিজিৎ। রবিবার রাতেই তিনি খবরটি পান।
প্রতিবেশী স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘অপরাধ দমনের জনপ্রিয় ওই সব সিরিয়াল দেখে অভিজিৎ নিজের ঘরেই দরজা বন্ধ করে খেলাচ্ছলে ওগুলো নকল করত। রবিবারও রাতে টিভিতে ওই সিরিয়াল দেখার সময় খেলাচ্ছলে
গলায় গামছার ফাঁস জড়িয়ে অভিজিৎ মারা যায় বলে শুনেছি।
আমরা খুবই মর্মাহত।’’
গাজল থানার পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা যাবে। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy