সব ঠিক থাকলে আজ, মঙ্গলবার সড়কপথে মালদহ থেকে রায়গঞ্জে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সফর চলাকালীন ইটাহার, রায়গঞ্জ, করণদিঘি, চাকুলিয়া, গোয়ালপোখর, ইসলামপুর ও চোপড়া থানার বিভিন্ন এলাকার রাজ্য সড়ক ও জাতীয় সড়ককে যানজট মুক্ত রাখতে প্রায় ৪০০টি জায়গায় ১ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জাতীয় ও রাজ্য সড়কে ট্রাক চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কোথাও কোনও গাড়ি বিকল হয়ে পড়লে যাতে দ্রুত তা সরিয়ে ফেলা সম্ভব হয়, সে জন্য বিভিন্ন এলাকায় বহু ক্রেনও মজুত করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে যাতে ডালখোলা এলাকার রেলগেট আচমকা বন্ধ করে দেওয়া নয়, সে জন্য জেলা পুলিশের তরফে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজার দাবি, ‘‘ডালখোলা এলাকার জাতীয় সড়কে যানজট রুখতে পুলিশ সব সময় সক্রিয় থাকে। তবে ভুট্টা সরবরাহকারী কিছু ট্রাক্টর বেআইনি চলাচল করায় যানজটের সমস্যা পুরোপুরি সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীর সফর চলাকালীন জেলায় কোথাও যাতে যানজট না হয়। তার জন্য প্রোটোকল মেনেই অতিরিক্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’
আজ, মঙ্গলবার দুপুর ১টায় রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় দুই দিনাজপুরের পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা। সেখান থেকে সন্ধ্যায় শিলিগুড়িতে আরেকটি প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। জাতীয় সড়ক যানজটমুক্ত না থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর কর্ণজোড়া থেকে ১৯২ কিলোমিটার দূরের শিলিগুড়িতে নির্দিষ্ট সময়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে পুলিশের দাবি। পুলিশ সূত্রের খবর, মালদহ থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রী রায়গঞ্জের ১০(এ) রাজ্য সড়ক ও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক মিলিয়ে ১৮৭ কিলোমিটার রাস্তা সফর করবেন।
তবে এই ‘আচমকা’ পুলিশি তৎপরতা নিয়ে সমালোচনাও চলছে নানা মহলে। যেমন, জেলা বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্লাবন প্রামাণিক বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সফর চলাকালীন যানজট রুখতে পুলিশ অতি সক্রিয়। অথচ গত আড়াই মাস ধরে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় ডালখোলা এলাকার জাতীয় সড়কে দিনভর যানজট চলেছে।’’ রায়গঞ্জের কুমারডাঙ্গি এলাকার বাসিন্দা গুলজার হোসেন ডালখোলার ভূষামণি-১ অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তিনি প্রতিদিন বাসে চেপে ডালখোলায় যাতায়াত করেন। তিনি বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের হয়রানি ও দুর্ভোগ রুখতে পুলিশ ডালখোলার জাতীয় সড়ককে নিয়মিত যানজটমুক্ত করতে কোনও উদ্যোগী হয় না। অথচ মুখ্যমন্ত্রী যাতে যানজটে আটকে না যান, তারজন্য পুলিশ হঠাতই অতি সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy