মানসিক ভারসাম্যহীন এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের মিলনগড় এলাকায়। শনিবার রাতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে বিয়েবাড়ি-ফেরত কিশোরীকে ছোটগাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ।
রবিবার সকালে বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ধানখেত থেকে উদ্ধার হয় বছর পনেরোর ওই কিশোরীর বিবস্ত্র দেহ। কিশোরীকে গণধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ওই ম্যাজিকের মালিক তথা চালক ও তার দুই সঙ্গীর বিরুদ্ধে। রাতেই গাড়ির চালক মহম্মদ রসুলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ওই ঘটনায় তার আরও দুই সঙ্গী জড়িত বলে ধৃতকে জেরা করে জানতে পারলেও তাদের হদিশ পায়নি পুলিশ। বাকি দুই অভিযুক্তকে ধরে তাদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সোমবার থানায় বিক্ষোভও দেখান স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। দুই অভিযুক্ত এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের ধরতে সবরকম চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। মানসিক ভারসাম্যহীন দরিদ্র পরিবারের ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় গোটা হরিশ্চন্দ্রপুর জুড়েই ক্ষোভ ছড়িয়েছে।
সোমবার সকালে কিশোরীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। চাঁচলের এসডিপিও রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতকে জেরা করে ওই ঘটনায় জড়িত আরও দু’জনের নাম পুলিশ জানতে পেরেছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’