দুপুরে কাটা হল কেক, রাতে পুড়ল আতসবাজি। জলপাইগুড়ির দেড়শোতম জন্মদিন পালনে সোমবার দিনভর উৎসব চলল জলপাইগুড়িতে। এ দিন দুপুরে ঘোষণা করল উৎসবের পরবর্তী পর্যায়ের অনুষ্ঠানের। আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে সাত দিনের উৎসব মেলা হবে জলপাইগুড়িতে। জেলার সৌজন্যের রীতি অটুট থাকল সার্ধ শতবর্ষ পূর্তির উৎসবেও। সোমবার সকালে জলপাইগুড়ির বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গন থেকে যখন হুটার বাজিয়ে পুলিশ ব্যান্ডের তালে উৎসব শুরুর যে শোভাযাত্রা এগোতে শুরু করল, তাতে সামিল হলেন বাম-তৃণমূলের প্রাক্তন-বর্তমান জন প্রতিনিধিরা। মিছিলের মধ্যে দেখা গেল বিজেপির যুব মোর্চার নেতাদেরও।
সোমবার থেকেই উৎসব শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই শহরে ছিল উৎসবের মেজাজ। তার মধ্যে আবহাওয়াও ছিল বেশ সুন্দর। তাতেই লোকের ভিড়ও বেড়েছে। এ দিন সকালে মিছিলের মুখ যখন পোস্ট অফিস মোড়ে চলে এসেছে তখনও বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গন থেকে মিছিল বের হচ্ছে। জেলাশাসক শিল্পা গৌরীসারিয়া, জেলা পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতিও মিছিলে হেঁটেছেন। জলপাইগুড়ির সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মণের আহ্বানে শোভাযাত্রায় এসেছিলেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ জিতেন দাসও।
আজ, মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলার দেড়শোতম জন্মদিন। অনেকের কাছেই ছুটির দিনও। তাই ভিড়ও হবে। সোমবার দুপুরে জন্মদিনের কেক কাটা হল, রাত বারোটায় জলপাইগুড়ির মিলনসঙ্ঘের মাঠে যখন আতসবাজির প্রদর্শনী শুরু হল, তখন চারদিকে কালো মাথার ভিড়। মধ্য রাতেও ভিড় দেখে উচ্ছ্বসিত সাংসদ বিজয়বাবু বলেন, “এই হল জলপাইগুড়িবাসী আবেগ। জন্মদিন এবং নতুন ইংরেজি বছরকে স্বাগত জানানো হল একই সঙ্গে।” সকালের শোভাযাত্রায় বিভিন্ন স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পা মেলান শহরের বিভিন্ন ক্লাবের সদস্য, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা সহ প্রচুর মানুষ। মাথায় ১৪টি হাঁড়ি নিয়ে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলা এই শোভাযাত্রায় শিল্পী বিশ্বনাথ সেনের নৃত্য থেকে লোকসঙ্গীতের দলের ধামসা মাদল নিয়ে নাচ-গানও ছিল।
জলপাইগুড়ির সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও।’’ বিকেলে জেলা পরিষদের একটি অনুষ্ঠান থেকে এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে সাত দিনের অনুষ্ঠান হবে। তাতে সব সরকারি সংস্থা যোগ দেবে। মিলনসঙ্ঘের মাঠে সোমবারের মূল অনুষ্ঠানটি হয়। সেখানেই জেলা পুলিশের তরফে একটি স্টল দেওয়া হয়। সেখানে পুলিশের ব্যবহার করা এখনকার ও পুরনো দিনের নানা আগ্নেয়াস্ত্রের প্রদর্শনীও ছিল।