আর পাঁচটা দিনের মতো বুধবারও স্বাভাবিক ছন্দে চলছিল স্কুল। আচমকাই চিৎকার, হুলস্থুল কাণ্ড। জানা গেল, ক্লাস চলাকালীন একটি সিলিং ফ্যান ভেঙে পড়েছে দুই ছাত্রীর মাথায়। দু’জনকেই নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও এক ছাত্রীর আঘাত গুরুতর। ঘটনায় ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের উছলপুকুরি কৃষক উদ্যোগ উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
আরও পড়ুন:
ফ্যান ভেঙে পড়ে জখম হয়েছে একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রী কৃত্তিকা বর্মন এবং বর্ণালি রায়। জানা গিয়েছে, কৃত্তিকার আঘাত গুরুতর। তাকে জামালদহ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য জলপাইগুড়িতে পাঠানো হয়েছে। অপর ছাত্রী বর্ণালিকে জামালদহ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি বাবলু হোসেন বলেন, ‘‘আচমকা এই ঘটনায় আমরা হতভম্ব। স্কুলের মাস্টারমশাইরা আমাকে ফোন করার সঙ্গে সঙ্গেই আমি স্কুলে চলে আসি। ঘটনায় দু’জন ছাত্রী আহত হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই স্কুলের সমস্ত পাখা ঠিকঠাক আছে কি না, ঠিকঠাক ঘুরছে কি না, তা দেখার ব্যবস্থা করেছি।’’
আহত ছাত্রী বর্ণালি বলে, ‘‘মাস্টারমশাই আমাদের ক্লাস নিচ্ছিলেন। বেঞ্চে বসে তা শুনছিলাম। আমি আর কৃত্তিকা দু’জনেই পাশাপাশি বসেছিলাম। আচমকাই মাথার উপরে ভারী কিছু একটা এসে পড়ে। বুঝলাম যে, উপর থেকে ফ্যান খুলে পড়েছে মাথায়। তড়িঘড়ি আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কৃত্তিকার মাথায় আঘাত গুরুতর হওয়ায় ওকে জলপাইগুড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে শুনেছি।’’ কিন্তু ক্লাস চলাকালীন পাখা ভেঙে ছাত্রীদের আহত হওয়ার ঘটনা একসঙ্গে অনেকগুলো গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। স্কুলগুলিতে বৈদ্যুতিক সামগ্রী তথা পাখার রক্ষণাবেক্ষণ কি আদৌ হয়? সর্বোপরি, এমন ঘটনার দায় কি স্কুল কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারেন?