Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

জাল শংসাপত্র, দুই প্রাথমিক শিক্ষক ধৃত

মৃত কনস্টেবলের স্ত্রীর চাকরির জন্য জাল শংসাপত্র দেওয়ায় অবসরপ্রাপ্ত দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ এই ঘটনায় দিন কয়েক আগেই ওই কনস্টেবলের স্ত্রী সহ আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৬ ০২:৩২
Share: Save:

মৃত কনস্টেবলের স্ত্রীর চাকরির জন্য জাল শংসাপত্র দেওয়ায় অবসরপ্রাপ্ত দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ এই ঘটনায় দিন কয়েক আগেই ওই কনস্টেবলের স্ত্রী সহ আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ ধৃত দুই শিক্ষকের মধ্যে একজন জলপাইগুড়ির গড়ালবাড়ি জুনিয়ার হাই স্কুল ও একজন গড়ালবাড়ি প্রাথমিক স্কুলে পড়ান।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন ময়নাগুড়ির উত্তর টেকাটুলির বাসিন্দা ধীরেন রায়৷ ১৯৯৩ সালের ১৩ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়৷ পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণা তাঁর স্ত্রী মিনুবালা রায় স্বামীর চাকরির জন্য আবেদন করেন৷ কিন্তু আবেদনের পরই তিনি জানতে পারেন, অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণা হতে না পারলে চাকরি হবে না৷ এরপর গড়ালবাড়ি জুনিয়ার হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণি পাশের একটি শংসাপত্র দিয়ে তিনি চাকরির আবেদন করেন৷ কিন্তু পুলিশ ভেরিফিকেশনেই ধরা পড়ে যায় সেটি জাল সার্টিফিকেট৷ ফলে তাঁর চাকরি হয়নি৷ কোনও কারণে জাল সার্টিফিকেটের বিষয়টিও ধামাচাপা পড়ে যায়৷

কিন্তু ২০১২ সালে তাঁর স্বামীর চাকরিটি যাতে ছেলে পায়, সে জন্য নতুন করে আবেদন করেন মিনুবালা রায়৷ তবে ছেলে মাধ্যমিক পাশ না হওয়ায় কনস্টেবল পদে চাকরির সেই আবেদনটিও খারিজ হয়ে যায়৷ কিন্তু তারপরই পুরানো ফাইল ঘাঁটতে গিয়ে জাল সার্টিফিকেটের বিষয়টি নজরে আসে পুলিশ কর্তাদের৷ জলপাইগুড়ি পুলিশ সূত্রের খবর, এরপরই রাজ্য পুলিশের এক কর্তা কলকাতা থেকে জেলা পুলিশকে জাল সার্টিফিকেটের বিষয়টি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা করার নির্দেশ দেন৷ এরপর দিন কয়েক আগে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ উত্তর টেকাটুলি থেকে মিনুবালাদেবীকে গ্রেফতার করে৷ তার ঠিক একদিন পর গ্রেফতার করা হয় মনোজ রায় নামে এক ব্যক্তিকে৷ তাঁদের জেরা করেই এ দিন দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ৷

ঘটনার তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, মনোজ রায়ের দ্বারস্থ হন মিনুবালাদেবী৷ মনোজ যোগাযোগ করেন অখিল মজুমদার নামে হলদিবাড়ির এক ব্যক্তির সঙ্গে৷ অখিলবাবুই তাঁদের গড়ালবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল ওয়াইদের সন্ধান দেন৷ সাত দিন পরে গড়ালবাড়ি জুনিয়ার হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণি পাশের ওই সার্টিফিকেটটি হাতে পান মিনুবালা৷ যাতে এসসি ঘোষ নামে এক জনের স্বাক্ষর ছিল৷ আব্দুল ওয়াহিদ পুলিশকে জানান, এসসি ঘোষ আসলে সমরচন্দ্র ঘোষ— যিনি সেই সময় গড়ালবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন৷ পুলিশ তাঁকেও গ্রেপ্তার করে৷ এই ঘটনায় অখিল মজুমদার নামে এক ব্যাক্তির খোঁজে তল্লাশি চলছে ৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fake document Teacher
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE