দু’জনেই স্কুল পড়ুয়া। তবে এ দেশের নয়, বাংলাদেশের। মোবাইল ফোনে আলাপ থেকে পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল দশম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রটির। এরপর বিয়ের সিদ্ধান্ত। কিন্তু তাদের সম্পর্ক কেউ মেনে নেবে না, এই আশঙ্কাতেই ভারতে পালিয়ে আসার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলে তারা। দালালকে সাত হাজার টাকা দিয়ে চোরাপথে হিলি সীমান্ত দিয়ে পৌঁছে যায় বালুরঘাটে। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না।
পুলিশ জানায়, রাতের শিলিগুড়ির বাস ধরবে বলে ওই দুই কিশোর কিশোরী বালুরঘাটের পাবলিক বাসস্ট্যান্ডে ঘোরাঘুরি করছিল। সন্দেহ হওয়ায় তাদের ধরা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বালুরঘাট থানার পুলিশ দু’জনকে চাইল্ডলাইনের হাতে তুলে দেয়। চাইল্ডলাইনের কোঅর্ডিনেটর সূরজ দাস বলেন, ‘‘ছাত্রটিকে সিডব্লিউসির মাধ্যমে বালুরঘাটের সমাজকল্যাণ দফতরের শুভায়ন হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা হবে। ছাত্রীটিকে পাঠানো হবে মালদহের সরকারি হোমে। পাশাপাশি বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ এবং শিয়ালকোট এলাকায় ওই দু’জনের বাড়ির ঠিকানায় খবর পাঠাতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রীর বাবা স্থানীয় একটি সংস্থার কর্মী। ছেলেটি শিয়ালকোট এলাকার বাসিন্দা। গত ৬ মাস ধরে তাদের প্রেম বলে উদ্ধার হওয়া দুই ছাত্রছাত্রী জানিয়েছে। ছাত্রটি বলে, ‘‘বুধবার স্কুলে যাওয়ার নাম করে দু’জনে পালিয়ে সীমান্তে চলে আসি। ওপারে আমাদের বিয়েটা কেউ মেনে নেবে না। তাই দেশ ছেড়ে পালিয়ে বিয়ে করব বলে আমরা ঠিক করি।’’
দালালকে ৭০০০ টাকা দিয়ে হিলি সীমান্ত দিয়ে ঢুকলেও ওই দালালের লোকজন তাদের ব্যাগকেড়ে নেয় বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ি গিয়ে তারা বিয়ে করবে বলে ঠিক করেছিল। বালুরঘাট থানার আইসি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘ছাত্রটি প্রথমে নিজেকে সাবালক দাবি করলেও পরে কাগজপত্র দেখে জানা যায় সে নাবালক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy