স্কুল-কলেজের সামনে ছাত্রীদের উত্যক্ত করা রুখতে লাগাতার অভিযানে নেমে পড়ল জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ।
সোমবার শহরের কুমুদিনী বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ৪ জনকে ধরেছে পুলিশ৷ গত এক সপ্তাহে জলপাইগুড়ি শহর ও শহরতলির বিভিন্ন স্কুল কলেজ থেকে অন্তত ২০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘ইভটিজিং নিয়ে কয়েকটি অভিযোগ এসেছিল৷ সে জন্যই কোতোয়ালি থানাকে অভিযানে নামতে বলা হয়৷ আপাতত এই অভিযান চলবে৷’’ তবে পুলিশ সূত্রের খবর, আগামী দিনে জেলার অন্য থানাতেও ইভটিজারদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামতে পারে পুলিশ৷
জলপাইগুড়ির বিভিন্ন স্কুল কলেজের সামনে ইভটিজারদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে৷ এই অভিযোগ পেয়ে গত সপ্তাহ থেকে অভিযান শুরু করেছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ৷
সূত্রের খবর, ইভটিজারদের ধরতে ইতিমধ্যেই একটি দল গড়েছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ৷ যে দলে রাখা হয়েছে মহিলা পুলিশকর্মীদেরও৷ তারাই প্রতি দিন স্কুল-কলেজ শুরু ও ছুটির আগে বিভিন্ন জায়গায় ওঁত পেতে বসে থাকছে৷ মেয়েদের স্কুলের সামনে কোন ছেলেকে ইভটিজিং করতে দেখলেই পাকড়াও করা হচ্ছে৷
পুলিশ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ইভটিজিংয়ের ঘটনায় যারা ধরা পড়েছে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন এমন রয়েছে যাদের বয়স আঠারোর নীচে৷ এমনকি এ দিন কুমুদিনী বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে থেকে পুলিশ যে চার জনকে ধরেছে তাদের দু’জনের বয়স আঠারোর নীচে৷ জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার এক পুলিশ অফিসার জানান, যে সব ছেলে এই ঘটনায় ধরা পড়ছে তাদের অভিভাবকদের ডেকে কড়া ভাবে সতর্ক করা হচ্ছে৷
পুলিশের এই উদ্যোগে খুশি অভিভাবকরা৷ শহরের বাসিন্দা শ্যামলী বিশ্বাস বলেন, ‘‘মেয়ে প্রতিদিন একা একাই স্কুলে যায়৷ ফলে দুশ্চিন্তা তো থাকেই৷ তবে পুলিশ গত কয়েকদিন ধরে যে উদ্যোগ নিয়েছে তা খুবই ভাল।’’
তবে দু’জন কিশোর গ্রেফতার হওয়ায়, চিন্তা বেড়েছে। শহরের অনেকেই জানান, কিশোরদের মধ্যে এই প্রবণতা বন্ধ করতে অবিলম্বে প্রশাসনকে তৎপর হতে হবে। ওই কিশোরদের কাউন্সেলিং করা দরকার বলে মনে করেন শহরের প্রবীণেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy