হাঙ্গামা বাধানোর অভিযোগে ধৃত তিন বিজেপি নেতা। নিজস্ব চিত্র।
গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার তিন বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে ভক্তকুমার রায় উত্তর দিনাজপুরের যুব মোর্চার জেলা সভাপতি, দেবাশিস সরকার সহ সভাপতি ও অশোক সরকার বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির সভাপতি। এ দিন, ধৃতদের রায়গঞ্জের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তোলা হলে তাঁদের জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে যায়। তিন জনেরই ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে।
এই তিন নেতার বিরুদ্ধে পুলিশ দু’টি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে। প্রথমটি করা হয় ৩ সেপ্টেম্বর। তাতে পুলিশ তিন জনের বিরুদ্ধে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখা, হাঙ্গামা বাঁধানো ও মারধরের অভিযোগে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করেছে। অন্য মামলাটি হয়েছে মঙ্গলবার। সেটিতেও পুলিশ বিজেপির ওই তিন নেতার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, কর্তব্যরত অবস্থায় সরকারি কর্মীকে মারধর, সম্প্রীতি নষ্ট, উস্কানিমূলক কাজকর্মে জড়িত থাকা, গুজব ছড়ানো ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করেছে। সরকারি আইনজীবী শিবাজী সিংহ রায় জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য মামলা থাকায় তাঁদের জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে যায়। ধৃতদের আইনজীবী অসীম চন্দের অভিযোগ, বিজেপির ওই তিন নেতাকে পুলিশ মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। তাঁরা আইনের পথে লড়বেন।
রায়গঞ্জের ডিএসপি প্রসাদ প্রধানের দাবি, উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ হাতে পেয়ে পুলিশ ওই তিন বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে। দু’টি মামলায় আরও কারা জড়িত, তা জানতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দামের দাবি, আসলে যারা সংঘর্ষে জড়িত, যারা প্ররোচনা দিয়েছে, তাদের পুলিশ গ্রেফতার করছে না। তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য জুড়ে বিজেপির নেতা ও কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে পুলিশ আইন মেনেই কাজ করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy