বিনা বিজ্ঞপ্তিতে বন্ধ করে দেওয়া হল ইসলামপুরের সুজালির নিমটেক্সের তিনটি চা বাগান ও কারখানা। মঙ্গলবার সকালের ঘটনা। কারখানা বন্ধ হওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন কয়েকশো কর্মী। ঘটনার জেরে ক্ষোভ দেখালেন ইসলামপুরের সুজালির ওই চা কারখানার শ্রমিকেরা। এ দিন সকালে কাজে গিয়ে শ্রমিকেরা বাগান বন্ধের কথা জানতে পারেন।
সেখানেই গিয়েই তাঁরা জানতে পারেন, বাগান ও কারখানা কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি ছাড়াই বন্ধ রেখেছে মালিকপক্ষ। এমনকি বাগানের ম্যানেজার সহ মালিক পক্ষের কর্মীরা চাবি দিয়ে চলে গেলেও আর আসেনি। এমনকি কবে তা খুলবে সেই সম্পর্কেও কিছুই জানাতে পারেননি তাঁরা। চা কারখানা বন্ধের প্রসঙ্গে ইসলামপুরের মহকুমা শাসক সেরিং ওয়াই ভুটিয়া বলেন, ‘‘চা কারখানা বন্ধের বিষয়টি শুনেছি। সহকারী লেবার কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছি বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করার জন্য।’’
চা বাগানের কর্মীদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই ওই চা বাগানের কাজ করছেন তাঁরা। এমনকি চা কারখানাতে প্রায় আশি জন স্থায়ী শ্রমিক ও বাগানের তিনটি ডিভিশনে কয়েক শতাধিক শ্রমিক রয়েছেন। তাঁদের দাবি, চা বাগানের গত বছরের তুলনায় এ বছর উত্পাদন থেকে সমস্ত কিছুই বেশি ছিল। গত ২৫ ডিসেম্বর বড় দিন উপলক্ষে চা বাগান বন্ধ ছিল। ২৬ ডিসেম্বর সপ্তাহের শেষের হওযায় উপলক্ষেই বন্ধ ছিল কারখানাটি। মঙ্গলবার সকালে কাজ করতে গিয়েই দেখতে শ্রমিকেরা জানতে পারেন, চা কারখানার দরজা বন্ধ। ওই গেটের নিরাপত্তা রক্ষী শ্রমিকদের জানিয়ে দেন, ম্যানেজার চাবি দিয়ে চলে গিয়েছেন। এরপরই শ্রমিকদের মধ্যেই তীব্র ক্ষোভ জন্মায়। তাঁদের অভিযোগ, চা কারখানা ও বাগান যাতে বন্ধ না হয়, সেই কারণে পুজোর সময় বোনাস তাঁরা নির্ধারিত বোনাসের থেকে ৭ শতাংশ কম নিয়েছেন। এমনকি বাড়তি কোনও সুবিধাই কারখানা ও বাগান থেকে তারা নিচ্ছেন না। এ দিন চা কারখানাতে যান তৃণমূল টি প্লান্টার্স ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সদস্যরাও। ওই সংগঠনের উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতি দীপক রায় বলেন, ‘‘এ ভাবে মালিক পক্ষ কোনও নোটিস ছাড়াই বাগান বন্ধ করে দিতে পারেন না।’’ বিধায়ক হামিদূল রহমানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy