Advertisement
E-Paper

৩০০ কোটির বিনিয়োগ প্রস্তাব জমা

দিনভর ‘সিনার্জি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মঞ্চ থেকে কেউ শিল্প গড়ার কথা ঘোষণা করেননি। কিন্তু, দিনের শেষে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের প্রধান সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, ৩০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব জমা পড়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:৫০
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

দিনভর ‘সিনার্জি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মঞ্চ থেকে কেউ শিল্প গড়ার কথা ঘোষণা করেননি। কিন্তু, দিনের শেষে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের প্রধান সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, ৩০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব জমা পড়েছে। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার একটি হোটেলে এক দিনের শিল্প সম্মেলনের পরে প্রধান সচিব বলেন, ‘‘৩০০ কোটির বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছি। এতে এক হাজারের বেশি কর্মসংস্থান হবে।’’ তাঁর দাবি, ২০১১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় (মালদহ ও বালুরঘাট ছাড়া) ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে ১৭০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে। কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ২৪ হাজার বেকার যুবক-যুবতীর।

তবে কোন কোন ক্ষেত্রে কত টাকার বিনিয়োগ হচ্ছে, তার কোনও পরিসংখ্যান অবশ্য দেননি আলাপনবাবু। তিনি বলেন, ‘‘সবটাই প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। অনেক প্রকল্পের কাজ এখনও চলছে। আমরা অনেক কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখছি। কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। সেগুলি সমাধানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’

শিল্প সম্মেলনে দার্জিলিং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জিটিএ-র প্রধান সচিব ছোটেন লামা, এসজিএসটি-র উত্তরবঙ্গের স্পেশাল কমিশনার প্রিয়াঙ্কা সিংলা, রাজ্য কৃষিজ বিপণন দফতরের সিইও মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের ডিরেক্টর বিজয় ভারতী-সহ বিভিন্ন দফতরের আমলারা বিনিয়োগকারীদের নানা সমস্যা সমাধানের উপায়ও বাতলে দেন।

এ দিনের সম্মেলনে ১৮টি দফতরের স্টল ছিল। সেখানে দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা ছিলেন। স্টল থেকেই বিনিয়োগকারীদের সমস্যা ও অভিযোগের কথা নথিভুক্ত করা হয়। সিআইআই-এর উত্তরবঙ্গ জ়োনাল কমিটির চেয়ারম্যান কমলকুমার তিওয়ারি বলেন, ‘‘অনেক সময়ে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য এক দফতর থেকে অন্য দফতরে ঘোরাঘুরি করতে হয়। কারণ, এক দফতরের কাজের সঙ্গে অন্য দফতরের কাজের যোগাযোগ থাকে। সমস্ত দফতরকে এক জায়গায় পাওয়ায় ছোটাছুটির সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়।’’

সম্মেলনে জমির মিউটেশন এবং অগ্নিনির্বাপক দফতরের ছাড়পাত্র পাওয়া নিয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগের কথা জানান বিনিয়োগকারীরা। দু’ক্ষেত্রেই ফি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ তুলেছেন অনেক বিনিয়োগকারী। দু’টি বিষয় নিয়েই মন্ত্রিসভায় আলোচনা করা হয়েছে এবং ফি কমানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান প্রধান সচিব। তবে ছাড়পত্রের ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করা হবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি।

সম্মেলনে যে সমস্ত সমস্যার কথা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তা নিয়ে জেলা স্তরে প্রশাসনিক বৈঠক করারও নির্দেশ দেন তিনি।

Investment Small Scale Industry
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy