Advertisement
E-Paper

হস্টেল থেকে পালাল ৪ ছাত্রী

মাত্র দিন কয়েক আগেই জলপাইগুড়ির একটি হোম থেকে পালিয়ে গিয়েছিল কয়েক জন কিশোর। তা নিয়ে হইচই পড়ে যায়। তারপরে হোমগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৭ ০২:৪৯

মাত্র দিন কয়েক আগেই জলপাইগুড়ির একটি হোম থেকে পালিয়ে গিয়েছিল কয়েক জন কিশোর। তা নিয়ে হইচই পড়ে যায়। তারপরে হোমগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তারই মধ্যে এ বার হস্টেল থেকে চার আবাসিক পালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হল হেমিল্টনগঞ্জ এলাকায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউনিয়ন অ্যাকাডেমি কালচিনি গার্লস হাইস্কুলের হস্টেল থেকে সপ্তমশ্রেণির তিন ছাত্রী ও ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী পালায়। কিছু পড়ে বিষয়টি জানাজানি হলে খোঁজ শুরু করেন হস্টেল কর্তৃপক্ষ। খবর যায় কালচিনি থানায়। রাত আটটা নাগাদ জানা যায় পশ্চিম সাঁতালি এলাকায় এক ছাত্রীর বাড়ি গিয়েছে চার ছাত্রী। শুক্রবার ছাত্রী ও অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন হস্টেল কর্তৃপক্ষ। তিন ছাত্রী হস্টেলে থেকে গেলেও এক ছাত্রী পরিবারের সঙ্গে বাড়ি চলে যায়।

আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ জানান, বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ হয়নি। তবে পুলিশ পুরো বিষটির উপর নজর রাখছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রীর অভিভাবক জানান, হোস্টেলে বিনা কারণে ছাত্রীদের মারধর করা হত। খাবারের মানও নিম্ন। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করতে পারত না ছাত্রীরা। এ দিন বিষয়গুলি খুলে হোস্টলে কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।

হোস্টেলের ওয়ার্ডেন অনামিকা সূত্রধর জানান, হস্টেলে প্রায় একশো ছাত্রী রয়েছে। মাঝে মধ্যেই ছাত্রীদের মধ্যে ঝগড়া হয়। সে জন্য তাদের মাঝে মধ্যে বকা ঝকাও করতে হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরেও সপ্তম শ্রেণির কয়েক ছাত্রীকে বকাবকি করা হয়। তিনি বলেন, ‘‘বিকেল সোয়া চারটে নাগাদ আমরা জানতে পারে হস্টেলের গেট খোলা। পরে জানা যায় চার জান বেরিয়ে গিয়েছে। আমরা ওদের খুঁজি। রাত আটটা নাগাদ জানতে পার চার ছাত্রী হেঁটে তাদের একজনের বাড়িতে গিয়ে উঠেছে।’’ তিনি জানান, রাতে তাঁরা সেখানে গেলে ছাত্রীরা আসতে চায়নি। সকালে আসে। তিন জন ছাত্রী এ দিন ফের হস্টেলে এসেছে। একজনের পরিবার তাঁকে বাড়ি নিয়ে গিয়েছে। অনামিকা বলেন, ‘‘ওদের কী অসুবিধে হচ্ছে, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে।’’

Bunk Hostel Students
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy