অমরনাথ দর্শন সেরে ফেরার পথে কাশ্মীরের একটি শিবিরে আটকে পড়েছেন শিলিগুড়ির পাঁচ পুন্যার্থী। গত ৮ জুলাই থেকে তাঁরা অমরাথ লাগোয়া বালতাল এলাকার শিবিরে থাকতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এক জঙ্গি নেতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কাশ্মীরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিক্ষোভকারী এবং পুলিশের সংঘর্ষে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। পুন্যার্থীরা জানিয়েছেন, কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় কার্ফু জারি হয়েছে। যাত্রীবাহী বাস থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি কিছুই পুলিশের অনুমতি ছাড়া চলতে দেওয়া হচ্ছে না। এই গেরোতেই আটকে পড়েছেন পুন্যার্থীরা।
গত ২ জুলাই শিলিগুড়ি থেকে অমরনাথের উদ্দেশ্যে রওনা দেন স্কুল শিক্ষক অমিতাভ গুহ সহ পাঁচ জনের দল। পরদিন দিল্লি পৌঁছে সেখান থেকে জম্মু পৌঁছন তাঁরা। অমরনাথ দর্শনের পরে ফেরার সময়ে কাশ্মীরের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে পড়ায় তাঁরা বালতালে আটককে পড়েন বলে জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, সেখানকার প্রশাসনের তরফে পুন্যার্থীদের নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পুলিশের নির্দেশে নিরাপত্তা ছাড়া কোনও গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। কবে তাঁদের গাড়ি যেতে দেওয়া হবে তাও জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। এ দিন অমিতাভবাবু বলেন, ‘‘এক বালতি গরম জল কিনতে পঞ্চাশ টাকা লাগছে। শৌচাগারে যেতে প্রতিবার দশ টাকা নেওয়া হচ্ছে। গাড়ি ভাড়াও তিন থেকে চারগুণ বেশই হাঁকছেন চালকেরা। চড়া ভাড়া দিয়েও ফিরব তার উপায় নেই, পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না।’’ অমিতাভবাবুর মতো আরও শতাধিক পুন্যার্থী কাশ্মীরে আটকে রয়েছে বলে অভিযোগ।
দার্জিলিঙের জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘পুন্যার্থীদের বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফেই খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।’’ ঘটনাটি শুনেছেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুরিন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। তিনি পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy