চন্দনা চক্রবর্তীর হোম থেকে বেআইনি ভাবে দত্তক দেওয়া আরও ৯টি শিশুর খোঁজ মিলল৷ তাদের এক জনের সন্ধান মিলেছে উত্তরপ্রদেশের ইলাহাবাদে, আর এক জনকে পাওয়া গিয়েছে বিহারের পূর্ণিয়ায়। গত বৃহস্পতিবারই তাদের জলপাইগুড়ি সিডব্লিউসি-তে হাজির করানো হয়৷ আপাতত তাদের দত্তক নেওয়া বাবা-মায়ের কাছেই রাখতে বলেছে সিডব্লিউসি৷ সূত্রের খবর, যাঁরা দত্তক নিয়েছেন, তাঁরা সিডব্লিউসি ও সিআইডি কর্তাদের কাছে মোটা টাকার বিনিময়ের কথাও স্বীকার করেছেন। সিডব্লিউসি সূত্রের খবর, এই নয় শিশুর দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন চল্লিশ হাজার টাকা থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়৷
২০১৬ সালের গোড়ার দিকে চন্দনা চক্রবর্তীর হোম বিমলা শিশু গৃহ থেকে ১৭টি শিশুকে বেআইনি ভাবে দত্তক দেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ এ বছরের গোড়ায় যে ঘটনার তদন্তভার নেয় সিআইডি৷ ফেব্রুয়ারিতে গ্রেফতার হন চন্দনা৷ তারপর একে একে তাঁর ভাই মানস ভৌমিক, বিজেপির মহিলা মোর্চা নেত্রী জুহি চৌধুরী সহ আরও ছ’জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি৷
সিআইডি জানতে পারে, চন্দনার হোমের বিরুদ্ধে সতেরোটি শিশুকে বেআইনি ভাবে দত্তক দেওয়ার অভিযোগ উঠলেও আসলে সংখ্যাটা কয়েক গুণ৷ সেই মতো খোঁজ শুরু করে সিআইডি৷ গত মাসেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে এগারোটি শিশুর খোঁজ পায় গোয়েন্দারা৷ যারা ছিল ওই সতেরো শিশুর তালিকায়।
এর ফলে সিডব্লিউসি যে সতেরোটি শিশুকে বেআইনি ভাবে দত্তক দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল, তাদের মধ্যে পনেরো জনের খোঁজ মিলল৷ খোঁজ পাওয়া নতুন নয় শিশুর গড় বয়স দুই-থেকে তিন বছর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy