এক দিনের ভারী বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশ বিধ্বস্ত। তবে সোমবার থেকে দুর্যোগের মেঘ কেটেছে। রোদের ঝিলিক দেখা গিয়েছে। সেই সঙ্গে প্রকাশ্যে আসছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে পাহাড়ে।
অন্য দিকে, তোর্সার জলে ভেসে আসছে বন্যপ্রাণীর দেহ। রবিবার নদীর জলে ভেসে এসেছিল গন্ডার। সোমবার কোচবিহারের ২ নম্বর ব্লকের রাজারহাট এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পূর্ণবয়স্ক স্বর্ণমৃগ বা বার্কিং ডিয়ার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাজারহাট এলাকায় তোর্সা নদী সংলগ্ন এলাকা থেকে সোমবার বিকেলে একটি হরিণকে ভেসে আসতে দেখেন কয়েক জন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা সেটিকে উদ্ধার করেন। দেখা যায়, বেঁচে আছে স্বর্ণমৃগটি। পুন্ডিবাড়ি থানায় খবর দেওয়া হয়। কিছু ক্ষণ পরে অকুস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ।
আরও পড়ুন:
স্বর্ণমৃগটিকে উদ্ধার করে প্রথমে মহিষবাথান পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে খবর দেওয়া হয় বন দফতরকে। বনকর্মীরা এসে ওই বন্যপ্রাণীটিকে নিয়ে গিয়েছেন। কোচবিহারের এডিএফও বিজন নাথ বলেন, ‘‘বিকেল থেকে সন্ধ্যা নাগাদ কোচবিহার-২ ব্লকের রাজারহাট সংলগ্ন তোর্সা নদী এলাকা থেকে স্থানীয়েরা একটি হরিণ উদ্ধার করেন। পুন্ডিবাড়ি থানা থেকে আমাদের সেটা জানানো হয়।’’ তিনি জানান, হরিণটির স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হচ্ছে। এখন সেটি বন দফতরের হেফাজতে রয়েছে। পুনরায় তাকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, সোমবারই দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে তোর্সা থেকে। দু’জনেই কোচবিহারের বাসিন্দা এবং রবিবার থেকে তাঁরা নিখোঁজ ছিলেন।