Advertisement
E-Paper

‘ছেলেই ওর মাকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে’! বাবার দাবির পরেই বালুরঘাটে জেলকর্মীকে খুঁজছে পুলিশ

শনিবার রাতে বালুরঘাট সংশোধনাগাদের কোয়ার্টার থেকে ৪৭ বছরের প্রৌঢ়া কল্পনারানি শীলের দেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের পর সেটি পরিবারের হাতে তুলেও দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪ ২২:০১

—নিজস্ব চিত্র।

মহিলা জেলকর্মীর সঙ্গে প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন মা। সেই কারণে ছেলেই তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছেন! বাবার এমন দাবির ভিত্তিতে বালুরঘাটে প্রৌঢ়া খুনের তদন্তে নামল পুলিশ। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবক এখনও পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।

শনিবার রাতে বালুরঘাট সংশোধনাগারের কোয়ার্টার থেকে ৪৭ বছরের প্রৌঢ়া কল্পনারানি শীলের দেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের পর সেটি পরিবারের হাতে তুলেও দেওয়া হয়েছে। কল্পনার স্বামী সুবীর শীল জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি কোচবিহারের কামাখ্যাগুড়িতে। ছেলে শোভনলাল শীল জেলকর্মী। বালুরঘাট সংশোধনাগারের কোয়ার্টারেই থাকেন। গত রবিবারই ছেলের কোয়ার্টারে গিয়েছিলেন মা কল্পনা। সেখানেই থাকছিলেন। তার পরেই এই ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, সুবীর দাবি করেছেন, শনিবার ডিউটিতে যাননি তাঁর ছেলে। বার বার ফোন করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। স্ত্রী কল্পনাকেও বার বার ফোন করেছেন। কিন্তু তাঁর ফোনও বেজে গিয়েছে। এতেই তাঁর সন্দেহ হয়। এর পরেই শোভনের এক বন্ধুকে তিনি বিষয়টি জানান। সেই বন্ধুই কোয়ার্টারের আবাসিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে কোয়ার্টারের অন্য আবাসিকেরা শোভনের ঘরে গিয়ে দেখেন, ঘর বাইরে থেকে তালা দেওয়া। রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে তালা ভেঙে গামছা জড়ানো অবস্থায় কল্পনার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ সূত্রে খবর, সুবীর দাবি করেছেন, শোভন জেলেরই এক মহিলা কর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু কল্পনা সেই সম্পর্ক মেনে নিচ্ছিলেন না। সেই জন্যই শোভন মাকে খুন করেছেন। সুবীর তদন্তকারীদের বলেছেন, ‘‘ছেলেই খুন করেছে। ওর সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি ছিল। কারণ একা এ ভাবে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। যে কারণে বাইরে থেকে ঘরে তালা মারা ছিল। যদি আত্মহত্যাই করবে, তা হলে বাইরে থেকে তালা মারল কে? ছেলে উধাও হয়ে গেল কেন? শনিবার সারা দিন ওর কোনও খবর পাওয়া যায়নি।’’

বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সুপার দেবাশিস মণ্ডল বলেন, ‘‘শোভনলাল শীলের ঘর বাইরে থেকে তালা দেওয়া অবস্থায় দেখা যায়। আমরা পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ এসে তালা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই ঘর থেকে ওর মায়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শোভনলাল শীলের কোনও হদিস পাওয়া যায়নি।’’

Balurghat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy