যুবকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া পরিবারে। — নিজস্ব চিত্র।
কলাগাছে ঝুলছে মৃতদেহ। গলায় লাগানো কলাপাতার ফাঁস। বুধবার এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে। পুলিশ যুবকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। কী কারণে মৃত্যু হল, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
বুধবার ধূপগুড়ি পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের ভাওয়ালপাড়া এলাকায় গিলান্ডি ব্রিজের কাছে একটি কলাগাছে মধ্যে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। যুবকের গলায় জড়ানো ছিল কলাপাতা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই যুবকের নাম প্রসেনজিৎ নন্দী (৩৫)। তিনি কাজ করতেন ধূপগুড়ির একটি জুতোর দোকানে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। প্রসেনজিতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফোন করে কেউ ডেকে নিয়ে যায় তাঁকে। তার পর থেকে বাড়িতে ফেরেননি প্রসেনজিৎ। বুধবার সকালে প্রসেনজিতের বাড়ির কাছেই উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। প্রসেনজিতের বোন বলেন, ‘‘গত কাল সন্ধ্যায় কেউ ওকে ফোন করেছিল। ও বাড়িতে বলল, ‘আমি দোকানে যাব।’ তার পর সারা রাত আর বাড়ি ফেরেনি। কলাগাছে বাঁধা অবস্থায় ছিল। ওকে কেউ খুন করেছে। যে খুন করেছে তার শাস্তি চাই।’’
পুলিশ প্রসেনজিতের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে যে ভাবে মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে তাতে নানা প্রশ্ন উঠছে। এ নিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আত্মহত্যা না খুন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে প্রসেনজিতের পরিবারের লোকজনকে। প্রসেনজিতের জামাইবাবু ভজন দত্তের কথায়, ‘‘কলাগাছে কী করে মানুষ ঝুলতে পারে বুঝতে পারছি না। এটা বিশ্বাস হচ্ছে না। এমন দৃশ্য তো আগে দেখিনি কখনও। আমাদের মনে হচ্ছে এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy