Advertisement
E-Paper

ডুয়ার্সে ধৃত ভুয়ো ডাক্তার

এক ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করল সিআইডি। বৃহস্পতিবার সকালে ডুয়ার্সের দলগাঁও স্টেশন থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এ দিন অভিযুক্ত চিকিৎসককে আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে চার দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৭ ০২:৩৫

এক ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করল সিআইডি। বৃহস্পতিবার সকালে ডুয়ার্সের দলগাঁও স্টেশন থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এ দিন অভিযুক্ত চিকিৎসককে আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে চার দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

চিকিৎসার ভুয়ো শংসাপত্র নিয়ে চিকিৎসকের চাকরি করার অভিযোগ ওঠার পরে ২৬ এপ্রিল আলিপুরদুয়ার স্বাস্থ্যকর্তারা তাঁর শংসাপত্র খতিয়ে দেখেন। তাতে দেখা যা, শংসাপত্রগুলি সত্যিই জাল। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মা তাঁকে তখন বহিষ্কার করেন। অভিযুক্ত কুশিনাথ হালদার নামে ওই চিকিৎসক মাদারিহাটের মধ্য রাঙালিবাজনা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মরত ছিলেন। তিনি এমবিবিএসের ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়ে চাকরি পান।

গত ১৫ বছর রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করতেন কুশিনাথ। গত সেপ্টেম্বরে তিনি মধ্য রাঙালি বাজনা উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে বদলি হয়ে আসেন। তার আগে তিনি আলিপুরদুয়ারের পাঁচকোলগুড়ি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ছিলেন। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে নানা সমাজবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ উঠে। তারপর তাঁকে বদলি করা হয় মধ্য রাঙালি বাজানা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এখানেও তাঁর বিরুদ্ধে এক মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠে। অভিযোগ জানানো হয়েছিল থানাতেও।

প্রশ্ন উঠেছে, কী করে এতদিন এমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কাজ করে গিয়েছেন তিনি? চাকরি দেওয়ার সময় স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা কী করে এত বড় ভুল করেছিলেন? নিয়োগের পর ১৫ বছরেও কেন ধরা পড়ল না যে, তাঁর শংসাপত্রটি ভুয়ো?

চোপরার ভুয়ো চিকিৎসক কায়সার আলমকেও সিআইডি সঙ্গে নিয়ে আসে। তাকে মাদারিহাট থানায় রেখে কুশিনাথ হালদারকে আজ আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলা হয়। কুশিনাথকে চার দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

Doctor Fake
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy