সুকান্ত মজুমদার। ফাইল চিত্র।
কম্পিউটারের কাজ। মোটা মাইনে। সঙ্গে থাকা ‘ফ্রি’! এই রকমই প্রতিশ্রুতি দিয়েই সৌদি আরবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দক্ষিণ দিনাজপুরের কয়েক জন যুবককে। গত শনিবার ভিডিয়ো বার্তায় ওই যুবকেরা বা়ড়িতে জানান, কম্পিউটার নয়, ভিন্দেশে তাঁদের দিয়ে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করানো হচ্ছে। কাজ না করতে চাইলে দালালরা তাঁদের ঘরে আটকে রাখছেন। বিদেশ বিভুঁইয়ে গিয়ে ছেলেরা ‘আটকে পড়ায়’ আশঙ্কিত পরিবারের লোকেরা। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দ্বারস্থও হয়েছেন। তাঁরা জানান, সাংসদ তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করে যুবকদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবেন।
সৌদিতে যাঁরা আটকে পড়েছেন, তাঁদের মধ্যে কয়েক জন গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিপ্লব সরকার ও তাঁর ভাগ্নে দেবাশিস সরকার গত ১ ডিসেম্বর দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন। তাঁদের সঙ্গে আরও অনেকে গিয়েছিলেন। পরিবারের দাবি, জেলারই এক দালালের কথায় তাঁরা সৌদিতে যেতে রাজি হয়েছিলেন। তাঁদের বলা হয়েছিল, কম্পিউটারের কাজের জন্য সেখানে লোক চাওয়া হচ্ছে। বেতনও প্রচুর। কিন্তু সেখানে পৌঁছতেই ভুল ভাঙে! গত শনিবার তাঁরা বা়ড়িতে একটি ভিডিয়োবার্তায় জানান, কম্পিউটারের কাজের বদলে তাঁদের নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দিনে ১০-১২ ঘণ্টা কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের। বিদ্রোহ করায় তাঁদের একটি ঘরে আটকে রাখাও হয়েছিল। ঠিক করে খেতে দেওয়া হচ্ছে না। বাড়ি ফিরতে দেওয়ার কথা বললে মাথাপিছু এক লক্ষ টাকা চাওয়া হচ্ছে।
গঙ্গারামপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নিশারানি সরকার বলেন, ‘‘আমার ছেলেকে এজেন্টরা যে চাকরি দেওয়ার নাম করে নিয়ে গিয়েছিল, সেই চাকরি ওকে দেয়নি। ওদেরকে একটা ঘরের মধ্যে আটকে রাখা হয়েছে। ছবিও পাঠিয়েছে। আমরা খুব চিন্তায় রয়েছি। সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে, আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দেবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy