Advertisement
E-Paper

ছাত্রীর ‘শ্লীলতাহানি’ রায়গঞ্জে

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দশম শ্রেণির এক আদিবাসী ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল রায়গঞ্জের একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এরপরেই মঙ্গলবার অভিযুক্ত শিক্ষককে অনির্দিষ্টকালের জন্য বরখাস্ত করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:২৩

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দশম শ্রেণির এক আদিবাসী ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল রায়গঞ্জের একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এরপরেই মঙ্গলবার অভিযুক্ত শিক্ষককে অনির্দিষ্টকালের জন্য বরখাস্ত করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, ওই ছাত্রীর বাবা সোমবার রায়গঞ্জের কর্ণজোড়া ফাঁড়িতে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই শিক্ষকের নাম অনিল বারোই। বারুইপুরের বাসিন্দা অনিল তেলঘানি এলাকাতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। চাকুলিয়ার বাসিন্দা ওই ছাত্রীও পরিবারের লোকেদের সঙ্গে ওই এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকে।

রায়গঞ্জ থানার আইসি মহাকাশ চৌধুরী বলেন, ‘‘অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’

স্কুলের অধ্যক্ষ ফাদার ডেভিড বলেন, ‘‘নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত অনিলবাবুকে বরখাস্ত করা হয়েছে। স্কুলের তরফে তাঁর বাড়িতে বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হয়েছে।’’

অভিযুক্ত অনিলবাবুর মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। পুলিশের দাবি, তিনি পালিয়ে গিয়েছেন। স্কুল সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই অনিলবাবু স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। কেনও তাঁর বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে তাও তিনি জানেন না বলেও দাবি করেছেন।

ওই ছাত্রী স্কুলের অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগে জানায়, রবিবার বিকালে প্রাইভেট টিউশন পড়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল সে। সেইসময় অভিযুক্ত শিক্ষক অনিলবাবু তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে সাইকেলে তোলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর তিনি ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন। ওই ছাত্রী প্রতিবাদ করায় ওই শিক্ষক তাঁর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। ছাত্রীর বাবা পুলিশের কাছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ছাত্রী ও তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর আদিবাসী সমন্বয় কমিটি। কমিটির জেলা সম্পাদক স্যামুয়েল মার্ডির দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ অভিযুক্তকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। অবিলম্বে অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার না করলে আদিবাসীরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন। স্যামুয়েল মার্ডির অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন স্কুলের অধ্যক্ষ ও রায়গঞ্জ থানার আইসি। তাঁদের পাল্টা দাবি,অভিযুক্তের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Harasment Girl Student Miscreants
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy