প্রতীকী ছবি।
কোচবিহার-২ নম্বর ব্লকের চাপাগুড়ি এলাকায় ৪ বছরের শিশুকন্যাকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ১৫ বছরের এক নাবালক।
চার বছরের শিশুটির মায়ের অভিযোগ, তাঁর মেয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গিয়েছিল। সময় পেরিয়ে গেলেও মেয়ে বাড়ি না ফেরায় তিনি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গিয়ে জানতে পারেন অন্য শিশুরা বাড়ি চলে গিয়েছে। শিশুকে খুঁজতে অদূরের জঙ্গলে গিয়ে পরিবারের লোকেরা দেখতে পান তাকে বেঁধে রেখে ওই নাবালক ধর্ষণের চেষ্টা করছে। তাঁদের দেখে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়।
আহত অবস্থায় ওই শিশুটিকে তার পরিবারের লোকজন কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করে। বর্তমানে ওই শিশুটি সেখানেই ভর্তি রয়েছে। নির্যাতিতার মা বলেন, জানায়, ‘‘রাস্তার পাশে জঙ্গল থেকে আমার মেয়ে ‘মা মা’ বলে চিৎকার করছিল। বেশ কয়েকজন মিলে জঙ্গলে ঢুকে দেখতে পান ১৫ বছরের একটি ছেলে আমার মেয়েকে বেঁধে রেখে ধর্ষণের চেষ্টা করছে। তার জামাকাপড় খুলে দেওয়া হয়েছিল। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে মারধর করা হয়েছে। মারের চোটে গাল ফুলে গিয়েছে।’’
ঘটনা প্রসঙ্গে কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সনিরাজ বলেন, ‘‘বুধবার বিকেল সওয়া ৩টে নাগাদ চকচাকা গ্রাম পঞ্চায়েতের চাপাগুড়ি থেকে পুন্ডিবাড়ি থানায় একটি অভিযোগ আসে যে স্থানীয় একটি নাবালক ছেলে এলাকারই এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। পুলিশ দ্রুত চিকিৎসা এবং প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষার জন্য নাবালিকাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত নাবালককে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy