জুয়া ও গাঁজার আসরের প্রতিবাদ করায় এক যুবককে ছুরি দিয়ে আঘাতের অভিযোগ উঠল৷ অলীক দত্ত নামে ওই যুবক বিজেপি কর্মী নামে পরিচিত।
সোমবার রাতে জলপাইগুড়ির ধাপগঞ্জের এই ঘটনায় অলীকবাবু গুরুতর জখম হন৷ তাঁকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়৷ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ৷
অলীকের বাড়ি ধাপগঞ্জের কৃষি বাগান এলাকায়৷ জখম ওই যুবকের অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলেই কৃষিবাগান খেলার মাঠ এলাকায় মদ, গাঁজা ও জুয়ার আসর বসে৷ সোমবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি৷ সন্ধ্যা হতেই কিছু যুবক সেখানে গাঁজা ও জুয়ার আসর বসায়৷ কিন্তু অলীক তার প্রতিবাদ করেন৷ অলীকের কথায়, ‘‘আমি গিয়ে ওই যুবকদের মাঠের মধ্যে এ ভাবে গাঁজা ও জুয়ার আসর বন্ধ করতে বলি৷ তখনই ওরা রে রে করে আমার ওপর তেড়ে আসে৷ তাদের মধ্যে অভিজিৎ তরফদার নামের ওই এলাকারই বাসিন্দা এক যুবক গাঁজা কাটার ছুরি দিয়ে আমায় আঘাত করে৷’’ এ ছাড়াও ওই দুষ্কৃতীদের মারে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পান অলীক৷
এই ঘটনায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেও ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে৷ তাঁদের অভিযোগ, কৃষি বাগান খেলার মাঠটি যেন কিছু দুষ্কৃতী ও সমাজবিরোধীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে৷ যার জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই সেখানে গাঁজার আসর বসাচ্ছে তারা৷ স্থানীয় বাসিন্দা আরতি রায়, অনিতা দের কথায়, ‘‘ওই দুষ্কৃতীদের জন্য সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বের হতেও অনেকেই ভয় পান৷’’
অলীকবাবুর বাবা অভিজিৎ দত্তের অভিযোগ, ‘‘কৃষি বাগান খেলার মাঠে সন্ধ্যার পর এ ধরনের মদ, গাঁজা ও জুয়ার আসর বন্ধ করতে পুলিশ, আফগারি দফতর সহ প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি৷ সে জন্যই বাধ্য হয়ে সোমবার রাতে আমার ছেলে প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল৷’’ ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা শ্যামন প্রসাদ বলেন, অবিলম্বে ওই এলাকায় মদ-জুয়ার আসর বন্ধ না হলে বিজেপি বড় ধরনের আন্দোলনে নামবে ৷
সোমবার রাতের ওই ঘটনার পরই অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে এলাকায় যায় পুলিশ৷ কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি৷ জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানান, ধাপগঞ্জের ঘটনায় অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে৷ পাশাপাশি ওই এলাকায় মদ, গাঁজা বা জুয়ার আসর যদি বসে থাকে, তবে সেটাও বন্ধ করা হবে ৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy