Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
School

‘জল ধরো, জল ভরো’ নীতিকে কাজে লাগিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারে স্বীকৃতি পেল মালদহের স্কুল

হরিস্বামী জানিয়েছেন, তাঁরা ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পকে কাজে লাগিয়ে ইতিমধ্যেই স্কুলের ছাদে শাক সব্জির পাশাপাশি বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক গাছ লাগিয়েছেন। একই সঙ্গে মাছ এবং ফুল চাষও হচ্ছে স্কুলে।

পুরস্কার হাতে প্রধান শিক্ষক হরিস্বামী দাস। নিজস্ব চিত্র।

পুরস্কার হাতে প্রধান শিক্ষক হরিস্বামী দাস। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ২০:১৬
Share: Save:

রাজ্য সরকারের পরামর্শে আমূল বদলে গিয়েছে স্কুলের ক্যাম্পাস। রাজ্য সরকারের ‘জল ধরো, জল ভরো’ নীতিকে সামনে রেখে সেজে ওঠা সেই স্কুল এবার কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের পুরস্কার পেল। মালদহের ইংরেজবাজারের শোভানগর হাইস্কুলকে দেওয়া হল ‘দ্যা ওয়াটার ডাইজেস্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৯-২০২০’।

অন্যান্য বছর এই পুরস্কার দিল্লিতে দেওয়া হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার ভার্চুয়াল অনু্ষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিস্বামী দাস কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত রাষ্ট্রমন্ত্রী রতনলাল কাটারিয়া এবং ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা দিল্লিতে থেকে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এই বিদ্যালয়ে বৃষ্টির জল ধরে রেখে পরিকল্পনা মাফিক নানা কাজে ব্যবহার হচ্ছে। বিষয়টি নজরে আসে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের। এর পরেই পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করা হয় ইংরেজবাজারের শোভানগর হাইস্কুলের নাম। সেই সুপারিশের পর কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই স্কুলকে বেছে নেয়।

হরিস্বামী জানিয়েছেন, তাঁরা ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পকে কাজে লাগিয়ে ইতিমধ্যেই স্কুলের ছাদে শাক সব্জির পাশাপাশি বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক গাছ লাগিয়েছেন। একই সঙ্গে মাছ এবং ফুল চাষও হচ্ছে স্কুলে। প্রায় ৮ হাজার স্কোয়ার ফুটের ছাদে বৃষ্টির জল ধরে রেখে এই কর্মযজ্ঞ চলছে। স্কুলে কয়েক হাজার গ্যালনের আন্ডারগ্রাউন্ড রিজার্ভারও তৈরি করা হয়েছে। যেখানে থেকে পানীয় জল নেওয়া হয়। স্কুলে সঞ্চিত এই বিপুল পরিমাণ জল প্রয়োজনে দমকলও ব্যবহার করতে পারবে।

প্রধান শিক্ষক জানান, আগামী দিনে জল সংরক্ষণ সুচিন্তিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে আরও বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) উদয়ন ভৌমিক বলেন, “শোভানগর হাইস্কুলের এই কৃতিত্বে আমরা সকলেই গর্বিত ও আনন্দিত। ওই স্কুল এর আগেও যামিনী রায় পুরস্কার পেয়েছে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে। জল ব্যবহারের জন্য এই পুরস্কার ওই বিদ্যালয়ের পক্ষে আরও একটি মাইলস্টোন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

School Water Award
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE