সংঘর্ষ: এনজেপি স্টেশনে। নিজস্ব চিত্র
মুখ্যমন্ত্রী তখনও শিলিগুড়িতে। এর মধ্যে দাড়িভিট কাণ্ড শিলিগুড়িতে এনে ফেলল বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। সকাল থেকে দুপুর অবধি কয়েক দফায় গোলমাল হল শহরে। কখনও এনজেপি স্টেশনে, কখনও কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সামনের রাস্তায়। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের বিরুদ্ধে উঠল এবিভিপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগও। দু’দলের সংঘর্ষে জখম ৭। দু’তরফেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
এবিভিপি মিছিলও করতে চেয়েছিল এ দিন। কিন্তু শেষ অবধি তা সম্ভব হয়নি। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সামনের রাস্তায় বসে পড়ে কিছু ক্ষণ প্রতিবাদ জানান তাঁরা। তার পরে স্টেডিয়ামের ভিতরে সভা হয়। সেখানে হাজির ছিলেন দাড়িভিটে নিহত রাজেশ সরকারের মা ঝর্না সরকার ও গুলিতে জখম ওই স্কুলের ছাত্র বিপ্লব সরকারের মা সরস্বতী সরকার। ঝর্নাদেবী বলেন, ‘‘অন্য কোনও মায়ের কোল খালি হোক, তা আমি চাই না। সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’’ তবে শেষ পর্যন্ত এবিভিপির মিছিল বের হয়নি। সভার পরেই সমর্থকরা স্টেডিয়াম ছেড়ে যান।
বস্তুত, দুপুরে যখন এবিভিপির সমর্থকরা স্টেডিয়ামের সামনে জড়ো হন, তখন উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। কারণ, একই সময়ে কাছে রামকৃষ্ণ ময়দানে তৃণমূল সমর্থকরাও জমায়েত হন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের নেতৃত্বে। তাঁদের মিছিলটি সেবক মোড় হয়ে বাঘাযতীন পার্কে শেষ হয়। গৌতমবাবু বলেন, ‘‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য শনিবার আমাদের মিছিলের কর্মসূচি রয়েছে। তাই আগাম মিছিলের অনুমতি ছিল। শুনেছি ওঁরা বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক জড়ো করে গোলমালের চেষ্টা করেছিলেন। চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে।’’ তৃণমূলের মিছিলের সময়ে স্টেডিয়ামের আশেপাশের রাস্তায় পুলিশ ব্যারিকেড করে দেয়। নানা রাস্তায় যানজট শুরু হয়।
পথে: শিলিগুড়িতে এবিভিপির অবস্থান বিক্ষোভে রাজেশ, তাপস, বিপ্লবের মা-বোনেরা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে শেষ অবধি গোলমাল না হলেও এনজেপি-তে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণবঙ্গ থেকে এবিভিপির যে নেতা-কর্মী এনজেপি পৌঁছন, তৃণমূল ইউনিয়নের টোটো চালকদের সঙ্গে মারামারির ফলে তাঁরা শহরে ঢুকতেই পারেননি। সংগঠনের নদিয়ার সমর্থক আশিস বিশ্বাস-সহ কয়েক জনকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ছুটে আসে রেল সুরক্ষা বাহিনী এবং রেল পুলিশের কর্তারা। ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি আইএনটিটিইউসি নেতা প্রসেনজিৎ রায় বলেন, ‘‘আমাদের সমর্থককেই মারধর করা হয়েছে। পরে টোটোচালকরা ওঁদের মারতে গেলে আমরাই গিয়ে ঠেকাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy