Advertisement
১১ নভেম্বর ২০২৪
Adhir Chowdhury

‘সততার কাছে হার মানতে হল ওঁকে’, শিলিগুড়ির মিছিল থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ অধীরের

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র বিরোধিতায় শনিবার দুপুরে শিলিগুড়িতে মিছিলের আয়োজন করে জেলা কংগ্রেস। মিছিলে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও।

(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অধীর চৌধুরী (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অধীর চৌধুরী (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৫০
Share: Save:

স্বাস্থ্য ভবনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর দাবি, সততার কাছে মুখ্যমন্ত্রীকেও হার মানতে হয়েছে!

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র বিরোধিতায় শনিবার দুপুরে শিলিগুড়িতে মিছিলের আয়োজন করে জেলা কংগ্রেস। শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্ক ময়দান থেকে শুরু হয় সেই মিছিল। শেষ হয় এয়ারভিউ মোড়ে। মিছিলে ছিলেন অধীরও। সেই মিছিল থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন তিনি। জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছেন বলে তাঁকে কটাক্ষ করেন অধীর। পাশাপাশি, রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার যে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন, তা নিয়েও তাঁকে দুষেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। অধীর বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রথম দিন থেকে একটাই দাবি করছিলাম, যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁরা আপনার সন্তানসম। তাঁদের ক্ষোভ-দুঃখ বুঝতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আপনার উচিত ওঁদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা। অথচ তিনি সে পথে না হেঁটে ছল-কৌশলের আশ্রয় নিলেন। শেষমেশ তাঁদের দৃঢ়তা, সততার কাছে আজ হার মানতে হল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। আজ মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়ে বাংলার মানুষের ক্ষোভ দেখে তাঁদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে গেছেন।’’

এর পরেই অধীর বলেন, ‘‘সমস্যা হল কয়লা যেমন ঘষলে পরিষ্কার হয় না, ঠিক তেমনই মুখ্যমন্ত্রী চালাকির আশ্রয় নিয়ে সেখানে গেলেন এবং মিষ্টি কথায় তাঁদের ভয় দেখালেন। ছাত্রছাত্রীদের পাঁচটি দাবির কথা সবাই জানে। তার একটির কথাও আপনি বলেননি যে পূরণ করবেন। আজ বিনীত গোয়েলের উপর এত দুর্বলতা কিসের? ক্ষত যখন ক্যানসারে পরিণত হয়েছে সেখানে আপনি বার্নল লাগাতে চাইছেন? এই ধরনের রাজনীতি আপনাকে শোভা পায় না। আপনার চালাকি আমরা বুঝি। মহৎ কাজ করার ঢং করছেন আপনি। ছল, বল, কৌশল ছেড়ে বরং তাঁদের সঙ্গে বসে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন।’’

অধীরের আরও মত, এই আন্দোলন মুখ্যমন্ত্রী মমতার ব্যর্থতা। অন্য দিকে, রোগীকল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়া নিয়েও দ্বিমত রয়েছে তাঁর। অধীর জানান, রোগীকল্যাণ সমিতি ভেঙে দিয়ে এর পর অধ্যক্ষদের ‘মাথা’ করা হবে। সমিতির গুরুত্বপূর্ণ পদগুলিতে নেওয়া হবে তৃণমূল-ঘনিষ্ঠদের। সন্দীপ ঘোষের মতো মানুষদের ফের ক্ষমতার আসনে বসানো হবে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE