প্রশান্ত মিত্র। নিজস্ব চিত্র
পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হবে মে মাসে। তার দু’মাস আগে ‘ধাক্কা’ খেলেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রশান্ত মিত্র।
বৃহস্পতিবার নোটিস জারি করে প্রশান্ত ও তাঁর অনুগামী আরও দু’জন কাউন্সিলরের সদস্যপদ খারিজ করল প্রশাসন। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, পুরভোটের মুখে এমন পরিস্থিতিতে ঘরে-বাইরে ‘চাপের মুখে’ পড়েছে প্রশান্ত শিবির।
রাজনৈতিক মহলের খবর, গত লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রশান্তের দাদা, তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র টিকিট পাননি। তা নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তীব্র মতবিরোধ হয় বিপ্লব ও প্রশান্তের। পরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে শামিল হন বিপ্লব। ভোটের ফলপ্রকাশের পরে গঙ্গারামপুর পুরসভার কয়েক জন কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে প্রশান্তও বিজেপিতে যোগ দেন। তার পরেই তৃণমূল শিবির প্রশান্তকে দল থেকে বহিষ্কার করে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, গত নভেম্বর মাসে দলের তরফে প্রশান্ত-সহ পুরসভার প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান তুলসীপ্রসাদ চৌধুরী ও অমিতা সরকার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁদের কাউন্সিলর পদ খারিজের আবেদন জানানো হয়।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলাশাসকের কাছে দাখিল সেই আবেদনের ভিত্তিতে প্রশান্ত ও অন্য দুই কাউন্সিলরের মতামত জানতে তদন্ত শুরু করে। প্রশাসনের বক্তব্য, প্রশান্ত লিখিত ভাবে তৃণমূলের সদস্যপদ ছেড়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। মোট সদস্যের এক তৃতীয়াংশ সদস্যকে নিজের পক্ষে দেখাতে না পারায় দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় পড়ে যাওয়ায় ওই তিন জনের সদস্যপদ খারিজ করা হয়।
জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, ‘‘নিয়ম অনুযায়ী এক তৃতীয়াংশ কাউন্সিলরের সমর্থন দেখাতে না পারায় তাঁদের বিরুদ্ধে ওই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’
এ নিয়ে প্রশান্তের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে তুলসীপ্রসাদ বলেন, ‘‘শুনেছি আমাদের কাউন্সিলর সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে। এখনও সরকারি ভাবে চিঠি পাইনি। তা পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, কয়েক দিনের মধ্যেই পুরভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে। কাজেই কয়েক মাসের জন্য তিন কাউন্সিলরের সদস্যপদ খারিজ করে পুরবোর্ডের নিরিখে তৃণমূলের তত লাভ না হলেও, পুরভোটের প্রচারে শাসকদলকে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে।
এ নিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, ‘‘দলের হুইপ যারা মানবেন না তাঁদের বিরুদ্ধে দল আইনগত ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। ওঁরা দলের প্রতীকে জিতেও দলের বিরুদ্ধে গিয়েছেন। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy